পড়া শুনা মনে হলেই সেই স্কুল লাইফ এর কথা মনে হয়। সেই যে একটি রুটিন লাইফ ছিল, তা আর বলবার অপেক্ষা রাখে না। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা, না চাইতে ও কষ্টো করে মায়ের সেই নাস্তা খাওয়ানো, তারপর স্কুল বাসের জন্য কিছুখোন অপেক্ষা করা, বাসে উঠে ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া, তারপরে ঘন্টা খানিক পার করে শেষ মেষ স্কুলে পৌছে যাওয়া।
স্কুলে টিচারদের কথা হয়তো মাঝে মাঝে নাই বা শুনলাম, কিন্তু বন্ধুদের সাথে গল্প মিস করা কখোনোই যেতো না। স্কুল শেষে আবার এক ঘন্টা বাসে সময় পার করে বাসায় আসা। খাওয়া দাওয়া করে, এক কথায় বলতে গেলে ( Lunch ) করে একটু রেস্ট ( rest ) নিয়ে, বিকালে মাঝে সাঝে বিল্ডিংএর নিচে খেলতে যাওয়া। তারপর সন্ধার পরে একটু নাস্তা করে বই খাতা নিয়ে পড়তে বসা। তারপর আবার সেই রেগুলার ডিনার ( Dinner ) শেষে ঘুমাতে যাওয়া। এর মাঝে কখোনো যদি সময় হতো তাহলে টেলিভিষন দেখার অনুমতি পাওয়া যেতো।
দিন গালো, বড় হোলাম, ইউনিভেরসিটির ( University ) লাইফ শুরু করলাম। প্রাইভেট ইউনিভেরসিটি, ওখানেও অনেক নিয়ম এবং রুটিন মেনে চলতে হতো। তারপরেও কিছু সাধিনতা ছিলো। কিছু সময় ক্লাসের নাম করে, মিতথা বলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা যেতো।
ভারসিটি শেষ হলো, বিবাহোর বন্ধনে বেধেঁ গেলাম। আরেক বারের মতোন রুটিন লাইফ শুরু করলাম। সকালে উঠো, নাস্তার যোগার দাও, সবার মন যোগানোর চেষ্টা করো, বাচ্চাদের লালোন পালোন করো, বাচ্চাদের স্কুল, ওদের পড়া শুনা, মুরুব্বিদের কথা মতোন চলা আর এর মাঝে নিজের জন্য সময় পেলে মোবাইলে আড্ডা এবং টিভিতে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখা।
এই সব কিছুর মাঝে যখোন নিজের জন্য সময় বের কোরতে ইচ্ছে হতো, তখোনি হতো বিপদ। সময়ের সাথে যুদ্ধ লাগতো, মনে হতো সময় এগিয়ে চলছে আর আমি অনেক দুরে।
এরি মাঝে হঠাৎ নিজের জন্য কিছু করবার ইচ্ছে যাগলো। মনে হলো আবার একটু পড়া শুনা করলে কেমোন হয়! সময় বের কোরে হয়ে গেলাম আই ই ল টি স ( IELTS ) এ ভোরতি। এতো বছর বিরোতির পর আবার সেই নতুন করে বই, খাতা, কলম, পেনসিল নিয়ে পড়া শুনা শুরু করলাম। কিছুটা অবাক এবং ভয় লাগলেও, পড়া শুনা করার মজাটা ছিলো তেমোনি ইনটেরেসটিং ( Interesting ) এবং এক্সসাইটিং ( Exciting )। আমাদের সারের সেই মজার মজার কথা এবং জোকস ক্লাসটি আরও ইন্সপায়ারিং ( Inspiring )বানাতো। ক্লাসের ফাকে মাইন্ডটা ( mind )ডাইভারট ( divert ) করতে ঔষধের মতোন কাজ করতো। টানা দুই ঘন্টার ক্লাস তা ছারা হয়তো বা মজার হোতো না। আমরা দুজন সপ্তাহের তিনটি দিন, সারাটি দিন ধরে এক সাথে কাটাতাম। জীবনের নানাণ চিন্তা গুলো সব ফেলে, কলেজ এবং ভারসিটি লাইফের কিছু সময়ের কথা মনে করে, এই ভাবেই কাটাতাম।
দুই জন বলাতে আবার মনে করবেন না ওননো কিছু!!!!
আমরা দুইজন, টোনা টুনি কিন্তু না!!!!!!!
সেই হলো আমার তিন বছরের "Colleague cum Friend" । এই ৩ বছরে আমরা অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে গেসি। সে আমার চেয়ে বয়সে ছোট তারপরেও আমাদের মধ্যে আনডারস্টান্ডিং ( understanding ) টা অনেক ভালো। মজাই লাগে যখন দুইজন মিলে পড়া শুনা করি, ঘুরে বেরাই, ফুটপাথের কোনায় বসে চা খাই, এবং মারকেটিং ও করি। ইটালিয়ান হোটেলে বসে দুপুরেরে খাবার খাওয়ার মজাটা ও ছিল অসাধারন। দিন গুলো যে কি ভাবে কেটে গালো, বুঝতে বুঝতেই ৩ মাস ও শেষ। এর মাঝে আমাদের দেশের হরতাল এর কারনে কোর্সের টাইম স্পানটা ও বেড়ে গিয়েছিল, তারপরে ও কানো জানি ক্লাসটা শেষ।
কোর্সটা প্রাই শেষের দিকে। পরিক্ষার ভয় ও লাগছে আবার কোর্স শেষ হওয়ার দুঃখটা ও প্রবল। ইদানিং দুইজন মিলে চিন্তা করছি আমাদের পরের মিশোন আর কি হতে পারে? এরি মাঝে, আরেকটা নুতন অফার চোলে এসেছে, দাখা যাক এইটা কতো দুর নিয়ে যায় আমাদের........
আসলে কি যানেন, বন্ধু জীবনে অনেক কিছু, বন্ধু ছারা জীবনটা হয়তো একটি অনধোকার জীবন হতো যেইখানটি তে কোনো আলো নেই, যামোনটা হলো মানুষের জীবনে শিক্ষা।