যে রঙিন আকাশ দিয়েছিলে তুমি, তাতে-
এই রাতগুলোয় হয় অজস্র নক্ষত্রের উদয় ।
দেহের পুরনো এই নিরাকার বৃত্তগুলো পাগল হয়ে,
বারণ ভেঙ্গে তাদের ধরতে ডুব দেয় কালো সমুদ্রে।
তবুও পারে না ধরতে তাদের, সেখানের দূরত্ব নাকি পূজো করে অধরার !
শুষ্ক ঠোঁটে ফুটে উঠে নীলাভ রঙের কায়া
দীর্ঘকায় সমুদ্র পেরেছে শুধু দেখাতে তার বাজেয়াপ্ত গভীরতা,
কিন্তু পারে নি অজস্র জলেও মেটাতে কারো তৃষ্ণা ।
অথচ পেরেছে ঠিকই চক্ষু বেয়ে পড়া মুক্তোর ছোট্ট ফোঁটাগুলো-
প্রলয়ঙ্কারী ইতিহাসটাকে অবলীলায় গোছাতে !
চন্দ্রালোকে যখন কোন পরিশ্রমী গাঙচিল,
রুপালি ঘোমটা দিয়ে সমুদ্রের নিশাচর ঢেউ ছিঁড়ে উড়ে যায়,
তখন তাকে বক্ষ খুলে বলতে ইচ্ছে হয় খুব,
'ওহে গাঙচিল !,
তুমি আলোর বিহঙ্গ হয়েও বিচরণ করছো-
রাত্রির আকাশে, দক্ষ শিল্পীর প্রতিচ্ছবি বয়ে ।
তবে দাও না এনে হারিয়ে যাওয়া আমার ওই নক্ষত্রগুলোকে !
তুমি পারবে, আমার বিশ্বাস !
করি নি তো তেমন কোন অন্যায় আবদার
তোমাদের তো আছে অধিকার পাড়ি দেয়ার সীমাহীন পথ !
যদি তুমি না চাও এনে দিতে আমায়,
ফের আকুতি রবে আমার-
পারো যদি তবে আমায় বানিয়ে নাও তোমার ডানার একটি ছোট্ট পালক ।
কিন্তু তাকে কিছুই পারি নি বলতে, চিৎকার করতে এখন ভয় হয় ভীষণ
আমার নাকি হয়েছিল মস্তিস্কের নিদহীন রক্তক্ষরণ
মরে গেছে বেশকিছু নিউরণ যেখানে লেখা ছিলো নক্ষত্রগুলোর অজস্র গল্প
তাদের পারি না আর আমি ডাকতে, গল্পগুলো যে এখন আমার নেই
তারা শুধুই আছে অনুভবে, দৃষ্টান্ত হয়ে অধরার নিঃসঙ্গ বুকে ।
ছবি কৃতজ্ঞতা- নেট ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১