দিবার নীলাভ আসমানের আঁড়ালে কাজলাবরণ চক্ষুদ্বয় নিজেদের সৌভিত পুষ্পসৌরভে লুকিয়ে রাখে । রাত্রির অবিশ্রান্ত সুখবলয় আঁধার তার বহিঃপ্রকাশে করে না কিছুমাত্র বিলম্ব । আমি চেয়ে থাকি জ্যোৎস্না- নক্ষত্রের সাজানো সুসজ্জিত তারাবনের নিস্তব্ধতায়, কী এমন সুখ নিষ্পন্নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোকাগুলো উল্লাস করে যায় ! আচ্ছা, নক্ষত্র কী জ্যোৎস্নার আলোকসজ্জায় ভাগ বসায় ? অগনিত দূরত্বের এই নক্ষত্রগুলো অথচ এই হৃদয়ে বসত করে বসেছে, তাদের ব্যতিরেকে রাত্রির মৃত্যু কল্পিত হয় মনের এই ষোলোকলায় , যেন দূরত্বহীন কী অদ্ভুত তান্ত্রিক ছলাকলা !
আমার জলের আছে দ্বিধা, রঙ্গময় জলজে খনিকময়ে এপিটওপিট । তবুও দৃষ্টির অগোচরে সাজানো আছে চিরচেনা রূপের অবয়ব, সম্মুখের অবয়বে এর নেই কোন চেনা সাদৃশ; রঙ্গময় ডান-বা, উপর-নিচ ! এগিয়ে যাওয়া পাদুকাদ্বয় জলতরঙ্গের প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় বিদ্রোহ করে, অথচ অদ্ভুত এক মায়ার খাঁচায় সে আমায় আগলে রাখে ! দুঃস্বপ্নের তাড়া খেয়ে কখনো আমি থুবড়ে পড়ি নি, এই জলের ক্ষমতা সীমাহীন, ধুয়ে মুছে নিয়ে যায় অযাচিত যতসব নীল নকশা । দৃষ্টির আয়নায় দাঁড়িয়ে থাকা অরণ্য বলে, লুকিয়ে যাও আমার বুকের কোন সুখ নিঃসৃত বৃক্ষের ছালটের অগোচরে । সহাস্যে আমি তার আহ্বানে মুক্ত হয়েছিলাম যেন, ফেলে আসা অস্তিত্বের নীরব ছোঁয়াগুলোতে । অরণ্যে বসবাস বিহঙ্গ সাজে, তবে নয়কো আর বিলম্ব । সন্নিকটে কোথাও হয়তো তীক্ষ্ম বাণ নিয়ে বসে আছে শিকারী, বিহঙ্গ সাজে হলাম আমি অরণ্যে পলাতক !
ছবি কৃতজ্ঞতা- নেট ।
্ দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে এক বছর পেরিয়ে গেল, বসে থাকা কিংবা দৌঁড়ে চলা সময়ের সান্নিধ্য পাওয়ার কোন সাধনা এখনো কোন সাধক করতে পারে নি ! আর আমি তো শুধু সামান্য কিছু শব্দের সাথে থাকি !!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২