এক টুকরো কালো মেঘ যখন মস্তিষ্ক হরণ করলো তখন অঝরধারায় বৃষ্টি ঝরলো জং ধরা চেনা রাতের শেষ আঁধারে । বৃষ্টিভেজা সূর্য দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে ভোরের মীমাংসা সাধনে, যাত্রা শুভ হোক তাবৎ পলকে হৃদয় অপেক্ষা করে নিত্যি নেশার ঘোরে ! নিষিদ্ধ আত্মার হাহাকার জুড়ে আকুতি- বিশুদ্ধ এক মুঠো কদম ফুলের পাপড়ি । তখন একটি অচিন পাখি উড়ে গিয়ে জুড়ে দেয় তার পেখম খুলে পড়ার ইতিহাস । বেঁচে থাকার সমস্ত প্রেম ঝরে পড়ে দেহ মাড়িয়ে অভিমানী কুয়োয়, সেখানে অপেক্ষায় থাকে ধোঁয়া উঠা মশাল হাতে আয়েশি চামড়ায় আবৃত বিবিধ দেহের ধ্বংসাবশেষ। একদল আঁধার খেকো এগিয়ে আসে নিঃস্বার্থ গল্প শুনাতে, তারা কুশীলবে কার্য হাসিল করে পেঁছনের দরজায় আবদ্ধ ভ্রমণে বেরিয়ে যায় ।
এখনো জলের মায়ায় গড়ে উঠা খণ্ড খণ্ড পাণ্ডুলিপিগুলো ইতিহাস গড়তে পারে নি, জীবন্ত কালির তালাশে তারা মিলিয়ে যায় কুয়াশার রাজ্যে । কে যেন ডাকে ! কে যেন ডাকে... একটি নয়, দুইটি নয়.... অজস্র হারিয়ে যাওয়ার আলিঙ্গন সুর, আয়েশি ছোঁয়া খুঁজতে আবারও পাগলপারা হয়ে উঠে বেহুদা সিংহাসনের লুন্ঠিত অধিপতি ! আবারও অবিরাম খরতাপে গলে পড়ে ছায়াগুলো । তৃষ্ণার্ত খাঁচা বেরিয়ে পড়ে শিকারের খোঁজে, লুকিয়ে যেতে চায় ভুলের ফুলগুলো আবারও।
স্বপ্ন কাঁথায় থাকা আর হলো না, পাঁচটি রেখা করেছে অবিশ্বাস স্থাপন, যেন অবেলার সময়কে করেছে ধারণ । জলের কাছে সাক্ষী রেখে উড়াল দিয়েছে ওরা বিনিদ্র রজনীর অরণ্যে। না, সেখানে নেই কোন বিস্বাদী ছায়া, তবে নেই তো কোন উদযাপন । জীবন্ত ধারায় ঘোষিত আছে কদম ফেলার সুস্পষ্ট নীতিমালা, লোমকূপের ঘুম চোখে হবে না স্নিগ্ধ ভোর দেখা, শ্রমের আশ্রমে নাম লিখলেই শুধু মিলবে চকচকে দুপুর অথবা হলদে দিন-রাত্রির মিলন । এভাবে জেগে উঠে শুভেচ্ছা ভোরের প্রথম আলোয় ফেলেছি কদম । অতঃপর পেলাম চাওয়ার না পাওয়াগুলো- একটি দিন, একটি আলো- একটি প্রশান্তির যোগাসন !
ছবি কৃতজ্ঞতা- নেট ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২২