somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ থেকে শুরু ডিজিটাল রেফারির যুগ (কপি-পেস্ট)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফুটবলের ইতিহাসে যুক্ত হচ্ছে যুগান্তকারী এক অধ্যায়। আজ প্রথমবারের মতো ফুটবল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহৃত হবে জিএলটি তথা গোল লাইন টেকনোলজি নামের এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। একে রেফারির ডিজিটাল সংস্করণ বলা যায়। জাপানে শুরু হওয়া ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের আজকের হিরোশিমা বনাম অকল্যান্ড সিটির মধ্যকার খেলায় এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করছে ফিফা কর্তৃপক্ষ। এতোদিন ধরে রেফারিকে সন্তুষ্ট করে জালে বল ঢোকাতে পারলেই গোলের বাঁশি। কিন্তু আজ থেকে এই গোল নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলেই ব্যবহার করা হবে এ পদ্ধতি যা হকআই ও গোলরেফ নামের দুটি প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে। গতকাল বুধবার জাপানে এক সংবাদ সম্মেলনে জিএলটি ব্যবহারের ঘোষণা দেন ফিফার মহাসচিব জেরোম ভালকে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে জেরোম বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে। আগামীকাল (আজ) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো গোল লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার হতে যাচ্ছে মাঠে। ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক ব্যবহার সফল হয়েছে।

তবে খেলা শুরুর প্রায় ঘণ্টা দেড়েক আগে এই প্রযুক্তি যথাযথভাবে কাজ করছে কী না তা পরীক্ষা করা হবে। যদি রেফারি সন্তুষ্ট হতে পারেন তবেই তা ব্যবহার করা হবে বলে জানান হকআইয়ের মহাব্যবস্থাপক স্টিভ কার্টার। এই পদ্ধতিটির ব্যবহার সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। হকআই পদ্ধটিতি ক্রিকেট ও টেনিসে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। গোলরেফ পদ্ধতিতে বলের গায়ে একটি মাইক্রোচিপ লাগানো থাকে। আর গোলপোস্টে থাকবে চুম্বক। হকআই তার বাজপাখির মত শক্তিশালী সাতটি ক্যামেরা দিয়ে প্রত্যেকটি বল জালে ঢোকার চিত্রটি নিখুঁতভাবে ধারণ করবে। কাজেই জিএলটি পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি গোল হওয়ার সময় বল ও গোলপোস্টের প্রতি মিলিমিটার পরিমাণ চিত্রে কোথায় কি হচ্ছে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন শুধু দেখার বিষয় হলো, জিএলটি স্থাপনের পর তা সঠিকভাবে কাজ করছে এবং মাঠের ক্যামেরাগুলোও তা সঠিকভাবে দেখাতে পারছে।

মূলত ফুটবলে রেফারির যেকোনো সিদ্ধান্ত ভুল হতে পারে। দর্শক ক্যামেরায় হয়তো স্পষ্ট দেখছেন যে সিদ্ধান্তটি ভুল। কিন্তু রেফরি হয়তো তা খেয়াল করেননি। এ সকল ভুল সিদ্ধান্ত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে ফুটবলকে মুক্ত করতেই জিএলটির ব্যবহার শুরু করতে চাইছে ফিফা।

তাছাড়া গোল লাইন টেকনোলজির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্টিভ কার্টার ২০১২ এর ইউরো কাপে ইংল্যান্ড বনাম ইউক্রেন ম্যাচের উদাহরন টেনে আনেন। খেলার ৬২ মিনিটে ইউক্রেনের স্ট্রাইকার মার্কো দেভিচের শট গোলে ঢোকার পর জন টেরি কোনোমতে সেটা বের করে দেন। হাঙ্গেরিয়ান রেফারি কাসাই গোল দেননি। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল গোললাইন ক্রস করে গিয়েছিল। গোলটা দেওয়া হলেও অবশ্য ইউক্রেন কোয়ার্টার ফাইনালে যেত না। স্কোর ১-১ হলেও ইউক্রেন ছিটকে যেত। কিন্তু গোলটা দেওয়া হলে ইউক্রেনের আরো গোল করার সম্ভাবনা ছিল। ইউক্রেন সমর্থকদের চিৎকারে ইংল্যান্ড দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। এই ইউরোতেই এ ধরনের গোল বিতর্ক সামলানোর জন্য দুদিকের গোলপোস্টের পাশে থেকেছেন অতিরিক্ত সহকারী রেফারি। তাদেরও চোখে পড়েনি গোল। ম্যাচের পর উত্তেজিত ইউক্রেন কোচ ওলেগ বেন্টাখিন মন্তব্য করেছেন, মাঠে পাঁচজন রেফারি ছিল। বলটা ৫০ সেন্টিমিটার ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। তা হলে পাঁচ রেফারির কী দরকার? ম্যাচের মধ্যেই তিনি তর্ক জুড়ে দেন চতুর্থ রেফারির সঙ্গে।

কার্টার আশা করেন, জিএলটির ব্যবহার থাকলে ওই ম্যাচের ৫০ সেন্টিমিটার কেনো, দুই-তিন বা চার মিলিমিটারের মাপও সঠিকভাবে নেওয়া যাবে। আর শেষ পর্যন্ত আজকের খেলাতে এমন হলেই আমরা সফল হয়েছি বলে ধরে নেওয়া যাবে।
সুত্রঃ এখানে
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×