আল্পস পর্বতমালা নিয়ে অনেক কিছু পড়েছি-শুনেছি। তবে এইবার স্বচক্ষে দেখালাম আর অভিভূ্ত হলাম।আল্পসের ফ্রেঞ্চ ও সুইজারল্যান্ড ব্লাঙ্ক সীমায় ছোট একটা গ্রাম চা্মনিক্স (Chamonix) ।এই চামনিক্সে অবস্থিত আল্পসের অন্যতম পর্বত ‘আইগুলি দ্যু মিদি’। প্রথম শীতকালীন অলম্পিক হয়েছিল এই চামনিক্সে ১৯২৪ সালে। ১২ হাজার ৬’শ পাচঁ ফুট উঁচু এই পর্বতের উপরের অংশ সবসময় বরফাচ্ছন্ন থাকে।
সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হল এখানে বিনোদনের সব রকমের ব্যবস্থা আছে। আপনি চাইলে ক্যাবল কারে করে বিভিন্ন উচ্চতায় উঠতে পারবেন্, পারবেন ট্রেনেও। হাইকিং, প্যারাসুট ডাইভিং, স্লাইডিং সব কিছুর ব্যবস্থা আছে। আছে দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন দোকান।
আমরা আগে থেকেই প্লান করে রেখেছিলাম জেনাভা থেকে চামনিক্স যাবো। জেনেভা এয়ারপোর্ট থেকে ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের পথ। শেষের দিকের যাত্রা পথ অলৌকিক সুন্দর। পাহাড়ের গা ঘেঁষে যাওয়া রাস্তা থেকে সুউচ্চ পাহাড় দেখলে মনে হবে যেন স্বর্গের দ্বারপ্রান্ত দিয়ে যাচ্ছি।
চামনিক্স সেন্টারে নেমেই মনে হল পাহাড়ে ঘেরা ছোট একটা গ্রাম চা্মনিক্স। চতুর্দিকে পাহাড়, উপরে নীল আকাশ আর নিচে বিভিন্ন রঙের সব ফুল। আমার ট্রেনে প্রায় ৬ হাজার ৩’শ ফুট উচ্চতায় উঠেছিলাম। ট্রেনে জানালা দিয়ে চামনিক্সের ঘর বাড়িগুলোকে দেখতে অপূর্ব লেগেছে। সবচেয়ে মজার বিষয়, যখনই কোনো সুন্দর দৃশ্য আসে-সবাই ছবি তুলতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে! তাৎক্ষনিক উপভোগ পরের বিষয়... আমি ও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না! তবে আমার সবচেয়ে ভাললাগা মুহূর্তু হল ট্রেন থেকে হরিণ শাবক দেখতে পাওয়া। আমি মনিকাকে দেখাতে দেখাতে হরিণ শাবক চোখের আড়ালে! সাথে মনিকার আপসোস ...
ট্রেন থেকে নেমে সবচেয়ে খুশি সৌমিতা।সে এখন চারিদিকে দৌড়াতে পারছে! আর আমরা খুশি ‘আইগুলি দ্যু মিদি’ পর্বত দেখে! মনে হয় না স্বর্গ এর চেয়ে বেশি সুন্দর! মজার বিষয়, অতোটুকু উচ্চতার বরফের একটা গুহা ছিল। ওই গুহায় বিভিন্ন প্রকার খনিজ পাথর প্রদর্শনী ছিল। এই পাথরগুলো ছিল বিভিন্ন দেশ ও চামনিক্স থেক সংগ্রহ করা।
প্রায় তিন ঘণ্টার জার্নি শেষ করে বাকি তিন ঘন্টা চামনিক্সের ছোট শহরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কাটিয়েছি।
আরো কিছু ছবি .......
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১