পড়ন্ত বিকেল, বিষণ্ণ মনে ম্যাকডোনাল্ডের ক্যাপিচিনো আর বার্গার কিং এর চিকেন ওয়িংস নিয়ে ফিইওরডের(নদী) সামনে তানভীরের সাথে দাড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছি।
শব্দ থেকে দূরে, নিঃশব্দের নৈকট্যে, সামান্য অকৃত্রিম শান্তির লালসায়...কিন্তু এত কোলাহল! কৃত্রিম না প্রকৃতির কোলাহল স্পষ্ট করে বললে মৎস্য কুমারীদের...আমাদের চিকেন ওয়িংস আর কফি দেখে হাজার হাজার মৎস্য কুমারী চিলে ফিস (ইলিশ মাছের মামাতো ভাই) আমাদের কাছে এসে কিলবিল-কিলবিল করতে লাগলো। পাশে থাকিয়ে দেখি, কিছু ভদ্রলোক বড়শী সমেত অনেক মাছ তুলছে। আমদের-তো আর বড়শী নেই! তো কি আর করা, তানভীরকে বললাম তুমি হাত দিয়ে চেষ্টা কর। যেই হাত দিল, সাথে সাথে ওর হাতের মুঠায় দুইটা মাছ!!! পরেরবার আর হাতের মুঠায় না, সরাসরি আঙ্গুলে! বেচারা হাতে সুড়সুড়ি পেয়ে, নিজেই আনন্দ নিলো আর মাছ ডাঙ্গায় তুলে আনল। আমি আর অপেক্ষা করতে না পেরে, দিলাম ঢুকিয়ে পা!! আহা! মাছগুলো আমার পায়ের লোম ধরে টানতে লাগলো(আসলে চুমু), আর আমি দিলাম টান... চারটা মাছ একসাথে উপরে উঠে এলো!!! এভাবে মাছ উঠালাম কেজি হিসাবে- ১ কেজি, ২ কেজি...। প্রায় যখন ৪ কেজির কাছাকাছি, তখন আমার পায়ের সব লোম ছিঁড়ে গেল! কি আর করা ওখানেই মাছ ধরার ইতি টানলাম...
ক্যামেরার অনুপস্থিতিতে মৎস্য কুমারীদের ধড়ার কাহিনী দৃষ্টি-বন্ধী করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ধড়ার পরের কাহিনী ছবিতে:
১) কাটার পরের দৃশ্য:
২) মসলা মাখানো অবস্থায় মৎস্য কুমারীরা :
৩) ভাঁজার পর:
৪) রান্নার পর: