আজকে সকালে কোনাবাড়ি গেছিলাম|ফিরার পথে দেখি বাসে জায়গা নাই|তো চৌরাস্তা আসার পর দেখি সিট খালি হয়ছে তো আমি আর দেরী না করে ধপ করে বসে পড়লাম|একটু পরেই দেখি কিছু ললনা বাসে উঠলো|সবাই পিছেই বসলো একজন শুধু ওদের সাথে বসতে পাড়লো না|আমার সিটটা ফাকাই ছিল তো মেয়েটা নিরুপায় হয়ে আমার পাশে বসলো|মেয়েটা দেখতে হেভি ছিল আমিও মনে মনে খুশিই হলাম|একটু পরেই বাসটা চলা শুরু করলো|
.
আমি একটু একটু পর পর মেয়েটার দিকে আড়চোখে তাকাই দেখি মেয়েটাও আমার দিকে তাকাচেছ|আমিতো হেভি খুশি হলাম আর ভাবলাম এবার এই মেয়ের সাথে লাইন কইরাই ছাড়ুম আর আমাদের ক্লাসের ফয়সালরে দেখাইয়া দিমু|কারণ শালা একবার বলছিলো আমার কপালে নাকি বউ জুটবো না|
.
এর কিছু্ক্ষণ পর হেল্পার আসলো ভাড়া চাইতে,ওর সব বন্ধুরা বললো
.
--দোস্ত তোদের বাসায় যাইতাছি ভাড়া তুই দিবি
.
এরপর মেয়েটা বললো
.
--is is whose whose.যার যার ভাড়া তার তার
.
মেয়েটার এই মিতব্যয়িতা দেখে অবাক হলাম আর মনে মনে বললাম “তোমাকেই তো খুজছি এতোদিন কোথায় ছিলে?”
.
মেয়েটার সাথে কথা বলার কোন উপায় পাচ্ছিলাম না কারণ যখনই কথা বলতে চাই ওর কোনো না কোনো বন্ধু এসে বাগড়া বাঝাই|মেয়েটাকে জিজ্ঞাস করলাম “তুমি কোথায় নামবা?” “কালিয়াকৈরে”
.
আহা এইকথা শুনে মনে শান্তি পাইলাম|ভাবলাম তাহলে ওইখানেই বাকি কাজ শেষ করমু একটু পরেই রেললাইনে বাস থামলো কারণ ট্রেন আসবে|ট্রেন দেইখাই ওরা সবাই চিতকার করতাছে আর বলতাছে “ইশ কবে যে ট্রেনে উঠমু”
.
আমিতো মনে মনে বলতাছি “টেনশন কইরো না বিয়ের পরে আমি তোমারে ট্রেনে কইরা বেড়াইতে নিয়ে যামু”
.
এর কিছু পরেই একজন বলতাছে “দোস্ত তোর জামাই বাড়ি আর কতদূর”
-এইতো আইসা পড়ছি”
-আমিতো পুরাই অবাক| মেয়েটাকে জিজ্ঞাস করলাম “আপনি কি শশুর বাড়ি যাইতাছেন?”
-“হ্যা”
( অতঃপর আমি একরাশ ছ্যাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯