ফ্রি রিকশা রাইড নাকি ফ্রি বেহায়াপনা?
এই কাজগুলো আসলে ভীষনভাবে অনৈতিক, ভীষনভাবে পরিত্যাজ্য। কোন সন্তান তার বাবা-মাকে বলে এই ধরনের কাজ করতে পারেনা। হয়তো ক্লাসে যাওয়া, কিংবা কোচিং এ যাওয়া অথবা টিউশনিতে যাওয়ার নাম করে তরুন-তরুনী বিশেষ করে টিনেজাররা রিকশায় ঘুরতে বের হয়। অনেক ক্ষেত্রে রিকশাওয়ালারাও বাড়তি টাকার লোভে প্রেমিক যুগলকে বিশেষ ধরনের সুবিধাও দিয়ে থাকেন। একই রকমের সার্ভিস চালু আছে বিভিন্ন লেকে, বা নদীতে, যেখানে নৌকার ভেতরেও প্রেমিক-প্রেমিকারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন।
এটইা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রচারণামূলক কার্যক্রম,ভালোবাসা দিবস উপলখ্যে তাদের নির্মিত নাটোকে আমি সমর্থন করি,কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কাপল দের জন্য ফ্রি রিকসা রাইডের ব্যবস্থা করাটাকে মতেও সমর্থন করতে পারলাম না,
আমাদের দেশ কিন্তু ইউরোপ আমেরিকা না যেখানে একটা ছেলে বা মেয়ে চাইলেই যা ইচ্ছা করতে পারে।আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যেমন আমরা যেমন কাজে অভ্যস্ত তেমন ভাবেই ভালোবাসা দিবস পালন করা উচিত,এ ভালোবাসা দিবস শুধু মাত্র কাপলদের জন্যই নয়, এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিটি রিকশা রাইডের আয়োজন না করে কোন বৃদ্ধাআশ্রম বা পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারতো,তারা যদি পথ শিশু বা বৃদ্ধাআশ্রমের সাথে ভালোবাসা দিবস পালন করতো তবে মনে হয় তাদের প্রচারণা তুলনামূলক ভাবে বেশিই হতো আর সমালোচনার স্বীকার হতে হতো না
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯