১৯৬০-১৯৯০ বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ
২০০০-২০০৬ বাংলা সিনেমার অন্ধকার যুগ
৪০০ অশ্লীল সিনেমা তৈরি হয়
★সিনেমার ধরন প্রায় একই
★প্রচলিত বিষয়ের মধ্যে ধর্ষন,নারী জাতিকে নিচু করা এবং নারীদের পন্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়
★প্রায় সিনেমায় বিদেশী পর্ণ ব্যবহার করা হত কিছু সিনেমায় নায়িকা
নিজেই এসকল দৃশ্যে আংশগ্রহন করতো
উল্লেখযোগ্য সিনেমা
-দুর্ধর্ষ কোপা,নষ্ট মেয়ে,ফায়ার,
অশ্লীলতার জন্য অনেক গুনী পরিচালক সিনেমা তৈরি থেকে সরে আসতে শুরু করেন,এদের মধ্যে বেশিরভাগ পরিচালক ছিলেন ৯০ দশকের ব্যবসাসফল সিনেমার পরিচালক (আমজাদ হোসেন,এজি মিন্টু,শহীদুল ইসলাম খোকন)
অশ্লীল সিনেমা গুলো মূলত ক্ষমতার জোড়েই রাতের অন্ধকারে তৈরি হতো
অধিকাংশ সিনেমা লাভা ভিডিও প্রডাকশনের তৈরি এবং ঊল্লেখযোগ্য পরিচারক -অপূর্ব রানা,শরীফ উদ্দিন খান দীপু,এনায়েত করীম,ইস্পাহানি আরিফ
তৎকালীন সময়ে সিনেমা এমন পর্যায়ে চলে গেল যে মানুষ যৌনতা ছাড়া সিনেমা দেখেই না।
সব সময় যে নায়ক নায়িকারা সেচ্ছায় অশ্লীল সিনেমায় কাজ করতো তা নয় অনেক ক্ষেত্রেই তাদের নতুন সিনেমার চুক্তি বদ্ধ করানোর পরে জোড় করে, ভয়-ভীতি দেখিয়ে বা চুক্তির আইনি ভয় দেখিয়ে কাপড় খুলতে বাধ্য করা হতো
আমরা দর্শকরা এসকল সিনেমার জন্য দায়ী করে থাকি সিনেমার নায়ক নায়িকাদের, মূলত এর জন্য দায়ী তৎকালীন সময়ের এসকল সিনেমা মূখী সিন্ডিকেটদের
২০০৬ সালের শেষের দিকে দর্শক,সরকার ও সুধী সমাজেন টনক নড়ে উঠতে শুরু করলো অশ্লীল সিনেমার বিরুদ্ধে।সংবাদ মাধ্যে লেখালেখী শুরু হলো অশ্লীল সিনেমার বিরুদ্ধে।
২০০৭ সালের শুরুর দিকে অশ্লীল সিনেমার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলো যার নেতৃত্বে ছিলেন নায়ক মান্না এবং তার সাথে যুক্ত হলেন মালেক আফসারী ও ডিপজলের মতো সিনেমা শুভাকাঙ্খীরা,যদিও আশ্লীলতার যুগে তারা কেউ কেউ ছিলেন বেশ স্বকৃয়।
তাদের এই আন্দলনের ফলে আশ্লীলতা দুর হতে শুরু করলো এবং অনেক চলচিত্র সংশৃষ্টরা নিশিদ্ধ হতে শুরু করে
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য দেখতে পাই মাঝে মাঝে সেই অশ্লীলতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে
বেদের মেযে জোসনা,মনপুরা,আয়নাবাজি,ঢাকা এট্যাকের মতো ব্যবসা সফল সিনেমা কিন্তু আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে,আমরা যদি চলচিত্র সচেতন হতে পারি বা হলে গিয়ে সিনেমা উপভোগ করি তাহলে অশ্লীল চলচিত্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস পাবে না
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১