বিরক্তি নিয়ে কফি খাচ্ছেন মহিন সাহেব । যাচ্ছিলেন জমিজমা সংক্রান্ত এক কাজে গ্রামের বাড়িতে । মাঝপথে জাহাঙ্গীনগর বিশবিদ্যালয়ের সামনে এসে চাকা পাংচার। বিরক্তির কারন এটাই । পাশের টেবিলেই আড্ডারত কিছু তরুন তরুনী । করার কিছু না থাকায় মনোযোগ দিলেন এই আড্ডার বাক্যালাপের দিকেই। “এই অমুক স্যারের এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার শেষ তারিখ কবে রে? এক তরুনের প্রশ্ন “আজই শেষ দিন তুই জানিস না?” তরুনীর পাল্টা প্রশ্ন। “হায় আল্লাহ আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম!! দোস্ত তোর টা দে না করে ফেলি” ছেলেটা এখন ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া বিনয়ের অবতার যেনো। এই আড্ডার দিকে খেয়াল করতে গিয়ে মাহিন সাহেব যেন হারিয়ে গেলেন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলে আসা দিন গুলিতে।
আর ইউ ইমোশনাল লিখা টি শার্ট পড়া সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া মহিনের শ্রীকান্ত পড়তে খুব ভালো লাগতো। আর ভালো লাগতো সারাদিন রাত আড্ডাবাজীতে ব্যাস্ত থাকতে। হিমুভক্ত এ ছেলেটির জীবনে রুপাও এলো অঢেল আর্শিবাদ হয়ে। সময়ের সাথে মহিনও এই আর্শীবাদএর সুফল ভোগ কড়তে লাগলো ঘুম থেকে ডেকে তোলা, নোট নেয়া থেকে এসাইনমেন্ট কপি পর্যন্ত।তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের হারিয়ে ফেলা উচ্ছাসমুখর দিনগুলির মত এই বন্ধুটিকেও হারিয়ে ফেলা। শ্রীকান্তরা বন্ধুত্বের প্রতিদান দেয় হারিয়ে ফেলে। অন্তত রুপারা তাই ভাবে। ভাববেই তো, ব্যাস্ততায় হাপিয়ে ওঠা জীবনের চাকা পাংচার হওয়া অবসরে স্মৃতিচারনের দুর্বল দীর্ঘশ্বাস রুপাদের কাছে পৌঁছানোর পথ যে হারিয়ে ফেলছে অনেক আগেই।
"স্যার আসেন গাড়ি ঠিক" ড্রাইভারের হাঁকের সাথেই ফেলে আসা স্মৃতিকাতরতা উড়ে গিয়ে ভীর করে বাস্তবতা।প্রকৃতির কাছে থেকে যায় রুপাকে ভালো রাখার আকুতি।
উৎসর্গ: আমার জল্লাদনী বান্ধবীটিকে যার আজ জন্মদিন।ভাল থাকিস জল্লাদনী সব সময়।