এপিএসের অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, রেলওয়েকে দুর্নীতিমুক্ত করতে গিয়ে তিনি চক্রান্তের শিকার হচ্ছেন।
পদত্যাগ করার মতো পরিস্থিতি ‘সৃষ্টি করা’ হলে ‘দেরি করবেন’ না বলেও জানিয়েছেন মাত্র পাঁচ মাস আগে মন্ত্রিত্ব পাওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “রেলওয়কে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য যখন আমি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি, তখন একটি দল এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।”
রেলওয়েতে আগে ‘থেকেই’ দুর্নীতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেনেশুনেই তিনি এই ‘বিতর্কিত’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
গত সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর জিগাতলা মোড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরের মূল ফটকের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ আটক হন মন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ওই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়।
ফারুকের সঙ্গে ওই গাড়িতে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ইউসুফ আলী মৃধাও ছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের খবর, রেলওয়ের নিয়োগের জন্য ঘুষ হিসেবে ওই ৭০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছিল। ওই টাকা নিয়ে তারা মন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন বলেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন ফারুক।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে বুধবার ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেন সুরঞ্জিত। ওই ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি করে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এই প্রেক্ষাপটে পদ্যতাগ করবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রাজনীতিবিদদের জন্য পদ অর্জন করা সহজ। পদত্যাগ করাও সহজ। অবস্থান ওইখানে নিয়ে গেলে এক মুহূর্ত সময় লাগবে না।”
গত বছর ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেন সুরঞ্জিত, অন্য মন্ত্রীদের সমালোচক হিসাবে যিনি বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন আগের তিন বছরে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আজীবন তীর ছুঁড়েছি। এবার তীরবিদ্ধ হয়েছি। এবার তীরের যন্ত্রণা বুঝেছি।”
ফরুকের কাছে টাকা পাওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের যে দাবি বিরোধী দল করেছে- সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সুরঞ্জিত বলেন, এটা রেল মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, আদালতের বিষয়।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাইলে এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা তারেদ সব ধরনের সহযোগিতা করব।”
সুত্রঃ বিডি নিউজ