somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘাসফুল ঘাসফুল

২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একে প্রচন্ড গরম তার ওপর লাগাতার হরতাল টানা লোডশেডিং, জীবনটা একেবারে অতিষ্ট করে ছাড়লো। হরতালে কাক ভোরে অফিসে যেতে হয়। এত ভোরে যেয়ে কি করি। তাই ভাবলাম হাঁটা যাক। হাঁটলাম বেশ কিছুক্ষণ। হাঁটতে যেয়ে ঝড়া বকুলের সাথে দেখা হল, কদমের গাছে গুটি ধরতে শুরু করেছে, আরেকটু পর কাঠ গোলাপের মাতাল মাতাল গন্ধ ভেসে এল দূর থেকে। কি মিষ্টি একটা সকাল! এরপর ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে নাস্তা সেরে অফিস শুরু। বেশ ভালই লাগছিল। এত ভাল সইবে কেন। শুরু হয়ে গেল ঘন্টা দুঘন্টা সময় নিয়ে চলা লোডশেডিং। পাম্পটেস্টের একটা এক্সপেরিমেন্ট দেখার জন্য আমরা সব্বাই যেয়ে দাঁড়ালাম মাঠে। উহ গরম কাকে বলে। সবাই ঘেমে নেয়ে একাকার। রোদে চোখ খুলে রাখা কঠিন। এমনি করে কাজটা শেষ হল।

প্রতিদিন এমন করেই কাটে। প্রচন্ড গরম তার ওপর বিদ্যুৎ নেই। এর মাঝেই কাজ করে যেতে হয়। মাঝে মাঝে এই খরতাপে পোড়া সময়ে দুপুর গড়িয়ে যখন বিকেল হয়, কেমন সব নিঝুম চুপচাপ লাগে। আজ বিকেলে বিদ্যুৎ যখন নেই, চার্জার ফ্যানটার বাতাসে কুলাচ্ছিল না। দখিনের জানালার পাশের টেবিলটাতে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। ঝিরঝির বাতাস আসতে লাগলো, বেশ ভালই তো।

একসময় চোখ গেল পেছনে মাঠ জুড়ে ঘাসের ফুল ফুটে আছে। দেখতে কাশ ফুলের মতন। সারা মাঠ সাদা হয়ে আছে। এই ফুলগুলো আমাকে ঘোর লাগিয়ে দেয়। আগেও যখন এই দিগন্ত জোড়া ঘাসফুল মোড়ানো মাঠ দেখতাম আমার ইচ্ছে করতো ওখানে খানিকটা গড়িয়ে আসি। এই অদ্ভুত শখটা আমার প্রায়ই হয়। চেরী ব্লসম দেখলেও মনে হয় ভেসে যেয়ে চেরীর বনের উপর শুয়ে থাকি। একই রকম হয় কৃষ্ণচূড়া আর মে ফ্লাওয়ার দেখলেও। হয়তো অলস মানুষ বলেই শুধু গড়ানোর ভাবনাই আসে মনে। গ্রীষ্মকালটা কি ভীষণ চরম ভাবাপন্ন একটা সময়। অথচ প্রকৃতি দুহাত দিয়ে রাঙিয়ে রেখেছে তাকে এই সময়টাতে। চারদিক জুড়ে লাল (কৃষ্ণচূড়া), হলুদ (রাধাচূড়া, সোনালী), বেগুনী (জারুল), হালকা গোলাপী (মে ফ্লাওয়ার)। আর সাদা সাদা ঘাসফুল। বিকেলে কাজের ফাঁকে একটা ছোট্ট সময় সাদা সাদা ঘাসফুল আমাকে বিষন্ন করে দেয়, উদাস করে দেয়, আবার মন ভালও হয়ে যায়। ল্যাপটপে তখন নিচুস্বরে বেজে চলেছে একটা প্রিয় গান। কি ভীষণ সুন্দর একটা দিন।

আবার হরতাল শেষে বাড়ী ফেরাটাও সহজ হয়, রাস্তায় সেই চিরচেনা যানজট নেই।

জীবনটা আসলেই কত সুন্দর!!!!!
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×