আমার রুমমেট সেই ইন্দুরটার অতি ত্যাদরামী হেতু উহাকে স্যান্ডেল প্রহার সমেত রুম থেকে বাইর করে দেয়া হয়েছে অতঃপর কিছুদিন অতিবাহিত হওয়া মাত্রই নতুন আরেক রুমমেটের নীরব অথচ দৃঢ়(!! ) উপস্থিতি টের পাইলাম। আমার অতি প্রোগামার নতুন রুমমেট আর আমার গবেষনা মুডের হেতু আমাদের অন্যমনস্কতাকে পুঁজি করে এই তৃতীয় পক্ষের আস্তানা রুমমেট হিসেবে পাকা-পোক্ত হইয়াছে, আমরা হঠাৎ একদিন আবিস্কার করিতে পারিলাম আমাদের রুম মাকড়সারা দখল করিয়া নিতে উদ্যত হইয়াছে!!
এমতাবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর তাগিদে আমরা লাগিয়া গেলাম, 'মাকড়সা বনাম আম্রা' যুদ্ধে! সব কিছুই ঠিক ঠাক চলিতেছিল, সব কিছু পরিস্কার করা হইবেক, কিন্তু হঠাৎ করে মনে হইলো স্পাইডার ম্যানের কথা এরাম কোন এক মাকড়সার সেরাম কামড়েই তো স্পাইডার ম্যান উদয় হইয়াছিল তারপর জানাইলাম মাকড়সার আস্তানা ভাঙ্গিবো কিন্তু মাকড়সার কোন ক্ষতি হইতে দেয়া যাইবে না, সৌভাগ্যক্রমে যদি একটা কামড় মারিয়া দেয় আমি পুরাই ইসপাইঠার ম্যান । আমার এহেন কর্মসূচীর সিদ্ধান্তে নাকি যুদ্ধবিরতির আশংকায়(!) আমার বন্ধু চোখ দু'খানি গোল করিয়া আমার দিকে তাকাইয়া থাকল।
আসল কথা হইল আমার মনে হঠাৎ করে একটা শখ চাপিয়া বসিল, লুকজন যদি এক্যুরিয়ামে মাছ-বন্দী করিয়া শখ পূরন করিতে পারে, আমি স্বাধীন মাকড়সার মতো জীবন্ত প্রানীকে কোনো পুঁজি ও খাবার বিহীন এবং অবশ্যই মাকড়সা রুমে বাথরুম করেনা যে কারনে রুম নোংড়া হওয়ার কোন ভয় নাই কেবল আমার রুমে আশ্রয় দিয়া আমার শখ পূরন করিতে পারি! তাই মাকড়সা পুষতে, মাকড়সার জাল দমন কিন্তু মাকড়সা রক্ষা কর্মসূচীতে নামিয়া গেলাম।
আমার রুমে এখন জীবন্ত কিংবদন্তী সব মাকড়সা!
মাকড়সাটোগ্রাফীঃ
(ছবিগুলো আমার ৩.২মে.পি. মোবাইল ক্যামেরা থেকে তোলা, এবং অবশ্যই এই লেখাটি সাধু-চলিত মিশ্রিত একটি জগাখিচুরি!! )
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৫৬