বিভোর শুন্যতাকে আঁকড়ে নিয়ে...জড়িয়ে নিয়ে অসমাপ্ত আকাঙ্খার সমাপ্তি.....
সিদ্ধাহীনতার অপরাধ যখন ঠাঁই নেয় অশুভ ভিমরতির আড়ালে, চেতনার নীল সোপান ছুঁয়ে দেয় আবেগকে। নিশ্চল একাকী আঁধার-যাত্রী, আজো পথ খুঁজে ফেরে যাযাবর জীবন। কোন একদিন-প্রতিদিন অস্তাচলের বাঁকে হাজারো রংধনু মিলছে বলেই আমরাও পথের দিশা হারিয়ে ফেলছি বারে বার..নতুন পথ খুঁজে পেতে, একটি কালো আর হাজারটি রংধনু শিল্পী মননে কি অদ্ভুত উপমা আরোপিত করে..
খুঁজে ফিরি..খুঁজে ফিরি..জোনাকিদের ঝাঁক, অস্তাচলকে যারা বিদায় দিয়ে আঁধার কে স্বাগতম জানিয়ে মেতে উঠে অদ্ভুত প্লাবনের বন্যায়।
জোছনার কানে কানে আজো বলি একটু আলো তুলে দাও হাতের মুঠোয় আমি চুপটি করে তোমায় দেখবো কোন রোদেলা দুপুরে।
জোৎসনা! তুমি তখন দেখতে কেমন হবে? জোছনার জোয়ারে ভাসব বলে জোনাক নিলাম হাতের মুঠোয়..পরম নির্ভরতায়..রোদেলা উন্মাতাল ক্ষনে জোছনায় ভাসবো বলে..ভাসাবো বলে..
নিঝুম বর্ষার,ঝিরিঝিরি কানা-কানি,চোখ ভিজলো,মুখ ভিজলো..হৃদয়টা ভিজছে না..মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে দিলাম হৃদয়ের আল্পনা গুলো..সোনালু ফুলকে স্মৃতির চিলেকোঠায় খুঁজে না পেয়ে আজ না হয় বিস্মৃতির বদ্ধ কুঠিরে কড়া নাড়লাম ..আঁধারকে প্রশ্রয় দিতে গেলে মনের গহীনে নিজের বাড়ী করে নেয়..তাকে আজো ঘর ছাড়া করার ব্যার্থ প্রয়াস চালিয়ে যেতে চাই..কেই বা জমিয়ে লুকোচুরি খেলবে এই আঁধার যাত্রীর সাথে..আঁধার ছাড়া?কিছু কিছু কুঠীর না হয় বদ্ধই থাক,তবে অন্ধ হয়ে নয়..আলোকে ভালবেসে..
স্রোতের বন্যায় ব্যাস্ততা লুকোচুরি খেলে তবুও আমি খুব ব্যাস্ত স্রোতের ডানায় চড়েছি বলে..কি পাওয়া কি না পাওয়া উন্মাতাল দুঃখ বিলাস,অস্থির সুখের পায়রা সবই নিয়েছি পরম আবেগের উষ্ণতায় জড়িয়ে..ছেড়ে দেব..কি ফিরে পাব, এই তো হারিয়ে যাওয়া স্রোতের বিপরীতে..যাতনা তোরে ভাঙ্গা বাড়ীতে জোছনা দেখাবো বলে সঙ্গী করে নিলাম, জানি নিজেকে খুঁজে পাবিনা সুতীব্র আলোয়..ভেসে তো আমিও গেসি..তাতে কি? তুই ভেসেছিস জোছনায় আর আমি ভেসেছি পলাশের মুগ্ধতায়..
গল্পের প্লট গল্পের স্টেশনেই হাবুডুবু খায়, স্বপ্নের মেল-গাড়ির অনিশ্চিত-নিশ্চিত অপেক্ষায়..তবু অনন্যতাকে জড়িয়ে রাখতে হয়..হাজার হোক মানুষ তো..
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫১