শীতাগম
শ্রাবণ আহমেদ
.
উষ্ণতায় ছেয়ে আছে, ধরণীর পৃষ্ঠ
মাঠ ঘাট ফেটে গিয়ে হয়েছে চৌচির
বটবৃক্ষে মধু জমা কার্য মৌমাছির
চতুর্দিকে কেবলই, উষ্ণ একনিষ্ঠ।
বড় বড় জমিদার যেন সবে শিষ্ট
শীতল বাতাসে মন, থাকে না অস্থির
সকলের আশা থাকে একটু স্বস্তির
প্রতীক্ষার পালা যায় পূর্বাপর দৃষ্ট।
অগ্রহায়নের শেষে, তার আগমন
বহুল অপেক্ষাকৃত, শীতের আভাস
দেখা দিলো দোর খুলে, শীত অবশেষে।
পৌষে গিয়ে হার কাঁপা, রাত্তির যাপন
ফাটা মাঠে জন্ম নিলো, প্রাণবন্ত ঘাস
শীতকে করে আপন, পরম আবেশে।