কৃষক
শ্রাবণ আহমেদ
.
তীব্র রৌদ্র সহ্য করে কাজ করে মাঠে
প্রকৃত মূল্য দেয় না কেউ যে কখনো
পরিশ্রমের যে ফল সেটা যে নগণ্য
বেলা শেষে নীড়ে ফিরে পা রাখে চৌকাঠে।
রাতের আহার শেষে নিদ্রা শক্ত খাটে
উঠলে প্রভাত রবি ক্লান্তি নেই কোনো
সদা হাসি খুশি মুখ চিরস্থির মনঃ
হার ভাঙ্গা খাটুনিতে ঘাম যে ললাটে।
মৌসুম ফুরালে তারা পায় শস্য সব
গোলা ভরা ধান দেখে ফোটে মুখে হাসি
ছয় মাস যাবে তাতে খাবে পেট পুরে।
নবান্নে উৎসব করে, জয় রব রব
বিস্তীর্ণ মাঠে তাকিয়ে অপলক চাষি
আবার বুনতে হবে, বীজ মাঠ জুড়ে।