ফিলোসফি আউড়াইলেই এখন জীবন
চলে না । গভীর আবেগ থেকেই
ফিলোসফির সৃষ্টি । আবেগ
না থাকলে ফিলোসফিগুলো কবিতার
লাইন হয়ে যেত । যান্ত্রিক
জীবনে আবেগ গুলোও এখন
যান্ত্রিক হয়ে গেছে । নিজের
দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যে জিনিসটা সঠিক ,
সংখ্যালঘু শ্রেণীর
ক্ষেত্রে সেটা সঠিক নাও হতে পারে ।
নিজের যেটা বিশ্বাস অন্যের ও
যে সেটা বিশ্বাস হতে হবে এমন
ধারনাটাও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যার্থ
প্রমানিত হয়েছে । সকলের বিশ্বাস
যদি একই রকম হত কিংবা সকলেই
যদি একই রকম চিন্তা করত
তাহলে পৃথিবীতে সবার ধর্ম ,
জাতি সব একই হত ।
যুক্তরাষ্ট্রে এই ৫০ বছর পরেও
কিন্তু সেখানকার ৬০ শতাংশ মানুষ
এখনও বিশ্বাস করে যে সূর্য পৃথিবীর
চারিদিকে ঘোরে , পৃথিবী সূর্যের
চারিদিকে না । ঠিক তেমনটাই
একেকজনের মতবাদ ও একেক রকম
। কারোর কাছে যেটা যুদ্ধ কারোর
কাছে সেটা আবার জেনোসাইড ।
কারোর
কাছে যেটা ভালোবাসা কারোর
কাছে সেটা আবার ভার্চুয়্যাল
এ্যাফেকশান ছাড়া কিছুই না ।
প্রতিটা জিনিস ই কিন্তু নিজ ধারায়
বদলায় । আমরা কেউ কিন্তু আগ্রহ
নিয়ে দেখি না যে পিজ্জা ডেলিভারে দেওয়া হয়
চারকোনা বাক্সে , বের করার পর হয়
গোল আর খাওয়ার সময়
থাকে ত্রিকোণাকৃতির । বর্তমান
পরিস্থিতিতে যা দাঁড়িয়েছে সিঙ্গেল
(!) মানেই এ্যাভেইলেবল । সিঙ্গেল
থাকার ও কিন্তু ধরণ আছে । প্রেম
করে যারা ব্রেকআপের পর সিঙ্গেল
হয় তাদের অধিকাংশ ই কিন্তু
এ্যাভেইলেবল । তারা আবার
রিলেশনে যায়
অতীতকে ভুলতে অথবা কষ্ট দিতে ।
কিন্তু যারা বিয়ের পরে সিঙ্গেল !
তাদের
ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো জটিল ।
বয়ফ্রেন্ড/ গার্লফ্রেন্ড
থাকা মানেই ফিজিক্যাল রিলেশন এ
কথা গুলো আজ থেকে ১০-১৫ বছর
আগে শোনা গেলে প্রতিক্রিয়া দেখা যেত
ভয়াবহ । কিন্তু এ ব্যাপারগুলো এখন
ট্রেন্ড কিংবা ফ্যাশন হয়ে গেছে ।
অনেকের তো এমনটাই
ধারনা যে ফিজিক্যাল রিলেশন
না থাকলে রিলেশন টিকবেই না !!
ব্যাপারটা কিন্তু ছেলে অথবা মেয়ের
ক্ষেত্রে ঘটে না । ঘটে উভয়ের
ক্ষেত্রেই ।
তবে ব্যাতিক্রমতা আছে , কিন্তু
ব্যাতিক্রমতা কখনও উদাহরণ
হতে পারে না । যেমন নাইলা নাঈম
কিন্তু বাংলাদেশের মডেলদের
মধ্যে ব্যাতিক্রম । তাই
বলে সে কিন্তু বাংলাদেশের
মডেলদের উদাহরণ না ।
ব্যক্তি জীবনে সে অনেক
ভালো হতে পারে তবুও সে কিন্তু
সমালোচিত তার কর্মের মাধ্যমে ।
সেরকম ব্যাতিক্রম ও আছে ।
সুতরাং তুমি কি করছ সেটা কিন্তু
মুখ্য বিষয় না , কেমন ভাবে করছ
বা কি উপায়ে করছ ঐটাই মুখ্য বিষয়
। তাই অন্যের পথ বদলায়ে লাভ নেই ,
নিজেকে নিজের পথেই চলতে হবে ।
বাস্তবিক জীবনে শিখে নেওয়ার
চেয়ে শিক্ষা নেওয়ার
প্রয়োজনীয়তাই বেশি ।
ডিকশনারি সবার ঘরেই থাকে ।
প্রয়োজন ছাড়া এমনি এমনি কয়জন
মানুষ ডিকশনারি খুলে পড়ে ? তাই
নতুন নতুন শব্দ সংযোজন করেও
লাভ নেই ।
পুরনো অতি চেনা শব্দগুলোই মানুষ
বারবার পুনরাবৃত্তি করবে ।
যা তারা পূর্বে মুখস্থ করে এসেছে ।
তাই
বলে ডিকশনারি ধরে বসে থেকে লাভ
নেই । নিজেকে নিজের ডিকশনারি মত
চলতে হবে ।