কিছুটা পেছনের ইতিহাসে যেতে হবে।
আমেরিকা এমন একটা উপায় আবিষ্কার করে ফেলে যা দিয়ে যেকোন ট্যাংক,যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানকে এক সেকেন্ডেই পৃথিবীর যেকোন জায়গায় নিয়ে আসা সম্ভব; তাও ভেতরে সৈন্যসহ।
আজকে না,১৯৪৩ সালে।এই প্রজেক্টের নাম ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট।
এজন্য জাহাজের আশেপাশে আলোকে নিয়ন্ত্রণের পরের ধাপে লোকেশন ও টাইমকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হয়।ফলে জাহাজটিকে সুবিধামত সৈন্যসহ ভ্যানিশ করে দেওয়া যায়।ফলে আমেরিকান নেভীর লেফট্যানেন্ট কমান্ডাররা তাদের দলকে নিয়ে চাওয়া মাত্রই পৃথিবীর যেকোন উপকূলে ও শহরে অভিযান শুরু করে দিতে পারে।
আমেরিকান নেভীর একেকটা এলপিডিতে ৮০০ সৈন্য আর ডজনের অধিক ট্যাংক থাকে। সমুদ্রপথে এক দ্বীপ থেকে আরেকদ্বীপে পার করার পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।আর নতুন আপডেটেড এলপিডিগুলোতে ১০০০ সৈন্য আর বিশের অধিক ট্যাংক,এপিসি পার করার যে ব্যবস্থা তারা করে ফেলেনি তারও কোন গ্যারান্টি নাই।
হিটলারের বিশ্বজয়ের জন্য দরকার ছিল এমন কিছুর কেননা হিটলার তরুণ বয়সে গেরিলা ওয়ারফেয়ারের পাক্কা খেলোয়াড় ছিল।
এমন প্রজেক্ট দরকার ছিল রাশিয়ার।কেননা কমিউনিস্ট দেশ হওয়ার কারণে রাশিয়া নিজেই যেকোন সময়ে হিটলারের আক্রমণের শিকার হত।
কিন্তু ওদেরকে টপকে এই কাজটা করে ফেলে আমেরিকা।ফিলাডেলফিয়াতে আমেরিকান নেভাল একাডেমীর পাশের জলসীমার একটা অংশে এই পরীক্ষাটা চালানো হয়।বেশ ভালোভাবেই চালানো হয়।নাম হয় 'ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট'।আমেরিকান নেভী এখনও এই এক্সপেরিমেন্টকে নিয়ে বাইরের দুনিয়ার করা প্রশ্নগুলোর জবাবে গুজব বলে দাবী করে।
ধরেন,এমন উপায় বের করা হল,বরিশালের একটা ফ্রিগেট এক সেকেন্ডেই বিশাল দূরত্বের চট্টগ্রামে চলে আসলো।চট্টগ্রামের একটা ক্রুজার পাঁচ সেকেন্ডেই খুলনা তিতুমীর ঘাঁটিতে পৌছে গেল।আবার ভোলার ঘাঁটি থেকে একটা লেজার গাইডেড নৌযান হঠাৎ সেন্ট মার্টিনের জলদস্যুদের ট্রলারের সামনে উপস্থিত।তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই নেভীর কাছে পরাজিত।
তেমনি আমেরিকান ফ্লিটগুলোর অভিজ্ঞ চৌকশ ক্যাপ্টেনরা সান ডিয়াগো,লস এঞ্জেলেস,সিয়াটল,সান ফ্রানসিসকোর নৌঘাঁটিগুলো থেকে সমুদ্রপথেই উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে আঘাত আনা শুরু করল;ব্যাপারটা এমনই।
এভাবেই নিজের ঘাঁটি থেকে বিভিন্ন দেশের ঘাঁটির সামনে নিজের যুদ্ধযানকে হঠাৎ পৌঁছে দেওয়ার উপায়টি বের করে ফেলেছিল আমেরিকা।মিয়ামির ঘাঁটি থেকে এক জাহাজে করে দশ হাজার অস্ত্রসজ্জিত সৈন্য শুধুমাত্র সমুদ্রপথেই কিউবার গুয়েনতানামো বে কারাগারের পাশে কোন শহরের মাটিতে ল্যান্ড করল,তাও দশ সেকেন্ডে।ফলে এলোমেলো হয়ে গেল কিউবার ডিফেন্স।
যুদ্ধটা এমন না যে শুধু একদেশ আরেকদেশকে পরমাণু বোমা ছুড়ে মারল।ব্যাপারটা শুধু এমন না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫০