ইউএস মিলিটারির লোকজন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ের যোগ্যতায় তুলনামূলক এগিয়ে থাকে। অন্যান্য লোকজনের তুলনায়।
যেমন,
রোনাল্ড রিগ্যান-আমেরিকান আর্মির ক্যাপ্টেন।
জন এফ কেনেডি-আমেরিকান নেভীর লেফট্যানেন্ট।
জর্জ বুশ- আমেরিকান এয়ারফোর্স এর ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট।
বুশের বাবা সিনিয়র বুশ- নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও যুদ্ধবিমানের পাইলট।
বুশের ২০০৪ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী (ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ক্যারি) আমেরিকান নৌবাহিনীর নাবিক।
জিমি কার্টার- লেফট্যানেন্ট(বিএন)।
জেরাল্ড ফোর্ড- আমেরিকান নেভীর লেফট্যানেন্ট কমান্ডার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সোলজার না হলেও নিউইয়র্ক মিলিটারী একাডেমির ক্যাডেট ছিল ১৮ বছর বয়সে।
এদের বাইরে বিল ক্লিনটন -ভিয়েতনাম যুদ্ধে ডাক পড়লেও পরে আর যান নি।
একরকম নিজের একসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতাটাকে সে আর্মিতে গিয়ে ঝালাই করে আসে।আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের লিস্টের বড় একটা অংশতেই দেখা যায় আমেরিকান সশস্ত্রবাহিনীগুলোর জন্য বিদেশে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আছে। সামরিক অভ্যুত্থান করে দেশের ক্ষমতা দখলের কৌশলকে মনে প্রাণে ঘৃণা করে।তার চেয়ে সাংবিধানিক বৈধ পন্থায় "একজন সিভিলিয়ান হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হব" এই বোধটি বুকের ভেতর জমিয়ে রাখে।
যেমন, এখন যেসব ২০ বছর বয়সী বা ২০+ যোদ্ধারা ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া,ফিলিপাইন,আফগানিস্তানের বিভিন্ন অলিগলিগুলো নিজেরা সশস্ত্র যোদ্ধা হিসেবে নিজের মত করে পরখ করে নিয়ে যাচ্ছে, এই রণবান্ধব অভিজ্ঞতাময় স্মৃতিই পরিপূর্ণ বয়সে এক সময়ের সেই তরুণ/কিশোর যোদ্ধাকে খারাপ সময়ে সমগ্র আমেরিকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত আর বিদেশ নীতির ব্যাপারে ঝটপট সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সহজ করে দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৪