আমি যখন প্রথম ফটো তুলি তখন সাধারণতঃ বক্স ক্যামেরার চল ছিল। আইসলি ক্যামেরা ছিল ফল্ডিং আর দামী ক্যামেরা ছাড়া অন্য সব ক্যামেরাতে এফ৮ লেন্স এবং এপারচার থাকত। শাটার স্পীড ১/১০০ থাকত, বড়োজোর একটা বি অপশন পাওয়া যেত। কিন্তু যেটা সবচেয়ে অসুবিধার ছিল সেটা হল ফিল্ম। রঙ্গীন ফিল্ম তখন আসেনি। সাধারণতঃ ১২০ বা ৬২০ সাইজের ফিল্মে ছবি তুলতে হত। ফিল্ম স্পীড ছিলে এ এস এ ১০০ বা ২০০।
তাই ছবি তুলতে প্রচুর আলর দরকার পড়ত। হাই স্পীড ফিল্ম স্পীড ৪০০ আসে মনে হচ্ছে ৫৮/৫৫ সালে এতে কম আলতে ছবি তুলতে পাড়া যেত।
ফিল্মের সাইজ ছোট হওয়াতে ছবি গুলোকে বড় করলে একটু আউট অফ ফোকাস মনে হত
এখানে আমি বেবী ব্রাউণিতে তোলা ছবি দিলাম। এটা কিন্তু আউট অফ ফোকাস দেখাবে কিন্তু এটা ছোট সাইজে পরিস্কার দেখাবে। কন্ট্যাক্ট প্রিন্টে এর সাইজ ছিল ৪ দশমিক এক সেন্টিমীটার স্কয়ার আর বড়টা ৪ দশমিক এক বাই ৬ দশমিক তিন সেন্টিমীটা
ইডেন গার্ডেনের কাঠের প্যাগডা (ছোট সাইজেরটা -১৯৪৯)
(বড় সাইজেরটা জশিডিতে ১৯৪৮)
এর পড়ে এল বক্স ক্যামেরার উন্নতি। প্রথমে গেভার্ট কোম্পানি বার করলো গেভাবক্স। ফিল্ম সাইজ ১২০ বা বড় ফুটোর স্পুলের ৬২।০ সাধারণত এতে আমরা আট টা ছবি তুললে তার মাপ থাকত ৫ দশমিক ৬ বাই ৮ দশমিক ৪ সেন্টিমীটার। ক্যামেরার ভেতরের ফ্ল্যাপ টানলে পরে ১২টা স্কোয়ার মাপের ছবি তোলা যেত। আমাদের জন্য শাটার স্পীড কমা বাড়ানোর সুবিধা ছিল না। অবশ্যি আমি অল্প দামের ক্যামেরার কথা বলছি। আগফা তার ক্লিক ক্যামেরাতে ফ্লাস বাল্বের ব্যবস্থা করলো। কিন্তু ফ্লাস বাল্বের দাম ছিল অনেক আর ফ্লাস বাল্ব ফেটে যাওয়ার ভয় ছিল। প্রতিটি ছবির জন্য আলাদা ফ্লাস বাল্ব লাগত। এখানে আমি দুটো ছবি দিলাম
উপরের ছবি দুটো একই ছবি। এক টার উপর শাঁখের গুড়ো ঘষে হাতে করে রঙ করা।
আজকে দিজিটাল ক্যামেরাতে সব কিছুই অটোমেটিক। দেখুন আর ছবি তুলুন। আলো কম বেশী হবার সম্ভাবনা নেই। কাজেই কারিকুরী করার সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে।। এখন কম্পশিজনের উপর খেলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫৭