মেঘ বলেছে যাব যাব, রাত বলেছে যাই
সাগর বলে কূল মিলেছে– আমি তো আর নাই।।
দুঃখ বলে রইনু চুপে তাঁহার পায়ের চিহ্নরূপে
আমি বলে মিলাই আমি আর কিছু না চাই।।
-কবি গুরু।
পদ্মার জেলেদের কাছ থেকে তাজা ইলিশ কিনে পোড়া মরিচ দিয়ে মচমচে ভাজি করে খেলে কেমন হয় ? সংগে লেজের ভর্তা।
আমার কপালে অবশ্য আগে থেকে ভেজে রাখা ইলিশই জুটল কারন জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে খেতে চাইলে মাওয়া পৌঁছাতে হয় খুব সকালে।
আর হ্যা, মাছ নিজে দাঁড়িয়ে ভেজে নিতে হবে না হলে মাছের টুকরা মিসিং হতে পারে বা ছোট হয়ে যেতে পারে :p
নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে যেতে হয় পদ্মা রিসোর্টে। সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থাও আছে। মিরপুর ১০, ফার্মগেট , শাহবাগ অথবা গুলিস্থান থেকে বাসে করে যাওয়া যায় খুব সহজেই।
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৬ কিমি দূরেই বেড়ানোর জন্য সুন্দর একটি জায়গা মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া ঘাট। প্রকৃতি এখানে অনেকটাই অকৃপন। রিসোর্টে পাখির কিচির-মিচির আর কাশবনের পাশে প্রমত্তা পদ্মা মুগ্ধ করলো খুব সহজেই।
আর আঁধার ঘনিয়ে এলে ভীড় থেকে হারিয়ে ফেললাম নিজেকে। ছোট শিশুদের মত রিসোর্টের দোলনায় দুলে ভাবলাম শৈশবের কথা। মেঘে মেঘে পেরিয়ে এসেছি বহু ছায়াপথ। কান পেতে শুনলাম আধাঁরের মাঝে নিশির আগমনী সূর। ঝিঝির ডাকে নিজেকে সম্মোহিত করলাম। উপলব্ধি করলাম একদিন সব শুন্য হবে , মহাশুন্য !
মনে পড়ল আমার লেখা পুরনো একটা কবিতা-
এই মাটি ...
----------------------
পেছনে ফিরে দেখি
সবুজ পাতাটা আর সবুজ নেই
শুকিয়ে গেছে অবহেলায়,
ঘাসের উপর হাসতে থাকা
শিশির বিন্দুটাও মিলিয়ে গেছে,
ভোরের মিষ্টি রোদের হাত ধরে।
হাসতে হাসতে ঢেউয়ের বুকে
কত পানকৌড়ি উড়ে গেল,
জানাই হলো না।
সুরমা নদীর তীর ছুয়ে
বয়ে গেল ভেজা হাওয়া,
বালুর ঘরে পা দেয়া গেল না।
পেছনের আলোর পাহাড়ে
নেমে এল বিষম নিশি।
মহাকালের অনন্ত সময়ের
কত কাল পেরিয়েছে ?
খোজ নেয়ার সময় পাইনি;
অথচ পায়ের নিচের ভুমি
ঝরঝর করে বলে ওঠল একদিন
এই মাটি থেকে তোমাকে
সৃষ্টি করা হয়েছিল,
এই মাটিতেই তোমাকে
ফিরে যেতে হবে,
এই মাটি থেকেই তোমাকে
আবার উঠানো হবে।
(তরিকুল হাসান, ২৫/০৫/১৫; ঢাকা)
বিঃদ্রঃ ছবি গুলো চোখ দিয়ে তুলে রেখেছি তাই শেয়ার করা সম্ভব হলো না!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫