গগনে কালো মেঘের আঁড়ে
লুকায়েছে ন্যায়ের সবিতা ,
ঈমানে ঈমানে সঙ্ঘাত দেখে
রুষ্ট হয়েছে বিধাতা ;
মলিন হয়েছে সুনীল প্রকৃতি
হতাশে বহিছে মলয়
ছাদে দাড়ায়ে খলিফা উসমান
দেখিছে ক্ষোভের প্রলয় ;
কহিল খলিফা মুসলিম জনতা
তোমাদের কি মনে আছে ,
মসজিদে নববী ক্ষুদ্র ছিল,
কে বিশাল করিয়াছে ?
চারিধার হইতে আওয়াজ আসিল
আপনিই সেই লোক
এর চাইতে উৎকৃষ্ট ভুমি
জান্নাতই বিনিময় হোক ।
অশ্রু ভরে কহিল খলিফা
তবে কেন আজ
দাড়ায়ে বাধার প্রাচীর তুলেছ
আমার পথের মাঝ ?
ক্ষনেক থেমে কহিল উসমান
লাগে আল্লাহর দোহাই
স্মরণ কর সে সময়ের কথা
পানি ছিলনা তাই
আমি আমি -আমিই কি সেদিন
করি নি বীরে রুমা ক্রয়?
তবে কেন আজ মরু এ আমি
একি নিষ্ঠুর নয় ?
কহিল খলিফা আবার ডেকে
'লাগে খোদার কসম
তোমাদের মাঝে আছে কি কেহ
ফেলিবে সত্য কদম ?
কহিবে একদা আল্লাহর রাসুল সাঃ
করিলেন উহুদে আরোহন
পর্বত তখন কাপিতে লাগিল
সেই ভার করিতে বহন ;
কহিলেন তখন সত্য নবী
স্থির হও হে অচল
এখানে রয়েছে নবী , সিদ্দীক আর
দুই শহীদের দল ।
সেই দলের সেই লোকের মাঝে
ছিলাম কি এই আমি ?
জনতা কহিল সত্য খলিফা
জানেন অন্তর্যামী।
নিরাশ নয়নে খলিফা দেখেন
জনতার কোলাহল
আক্রোশ যেন বাড়িছে তাদের ,
নামে বিষাদের ঢল ;
খলিফা বলেন চিৎকার করে
লোকেরা আমাকে বল
বাইয়াতে রিদওয়ানে রাসুলের বাহু
কার বাহু হয়ে ছিল ?
আজ কি তবে সেই হস্ত
কাটিতে তোমরা চাও ?
চলে এসো তবে ভয় করি নাক
চড়িতে শহীদের নাও ।
ইসলাম বলে মানুষ হত্যার
কারন আছে ত্রয়
এক কিসাস , দুই মুরতাদ
তিন ব্যভিচারীযদি হয়।
ছিলনাত এর কোন দোষই
আমিরুল মুমীনিনের
তার পর ও অবুঝ জনতা
আক্রোশ করল ফের ।
জুমার দিন রোযার নিয়ত
করিলেন খলিফা
সপ্নে আসিয়া তাহার সহিত
মিলিলেন মোস্তফা (সাঃ) ।
কহিলেন ডাকি দীনের নবী
ছেড়ে আস নশ্বর দেহ
ইফতার নিয়েবসে আছি
সিদ্দিক ঊমার সহ ।
শুনিয়া উসমান জাগিয়া উঠিলেন
বসিলেন নিয়ে কুরআন
ভুলিয়া গেলেন সকল কষ্ট
করিতে জীবন দান ।
বাহিরের সেই উত্তাল জনতা
করিল গৃহে প্রবেশ
মুহাম্মাদ বিন আবু বকর
নেতৃতে রহিলেন বেশ ।
খলিফার দাড়ি ধরিয়া তিনি
ফেলিলেন তাহাকে মাটিতে
খলিফা কহিলেন " ভাতুষ্পুত্র
তোমার পিতা থাকিলে
হয়ত লজ্জা করতেন তিনি
দেখিয়া তোমার আচরন !"
একথা শুনিয়া ক্ষনিকে তাহার
কেমন করিল মন ।
এভাবে এক করুণ সময়ে
হইল তাহার ওফাত
সোনালী দিনের ইতিহাস বেয়ে
আসল মলিন প্রভাত ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮