ক্রিকেটের যুদ্ধে বহু বার জিতলেও ক্রিকেটই কেড়ে নিল ফিল হিউজের প্রাণ। মাথায় মারাত্মক চোট কেড়ে নিল অস্ট্রেলিয়ার এই পঁচিশ বছরের তরুণ ওপেনারের জীবন।
মাইকেল ক্লার্কের চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন সবাই। নিজেকে প্রমাণ করতে শেফিল্ড শিল্ড খেলতে নেমেছিলেন তরুণ এই অস্ট্রেলীয় ওপেনার। টেস্ট দলের অনিয়মিত সদস্য বোধহয় ভেবেছিলেন, নিজেকে এ বার প্রমাণ করে দেবেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি)-এ সাউথ অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউ সাউথ ওয়েলসের সেই ম্যাচে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। প্রায় নিখুঁত ব্যাটিংয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে প্রায় নিশ্চিত দেখাচ্ছিল তাঁকে। সেই সময়েই শন অ্যাবটের একটি বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে চোট পান ফিল। মাথার পিছন দিকে কানের ঠিক নিচে বল লেগে ছিড়ে যায় মস্তিস্কে রক্ত যাওয়ার প্রধান শিরা। কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকার পরই মাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান তিনি। হেলিকপ্টারে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে। প্রথম থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল সংকটজনক। মাথায় অস্ত্রোপচারের পর রাখা হয়েছিল কৃত্রিম কোমায়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের চিকিত্সক পিটার ব্রুকনার। ফিলের মৃত্যুর খবর দিয়ে তিনি জানান, মঙ্গলবার চোট পাওয়ার পর থেকে কখনওই জ্ঞান ফেরেনি তাঁর।
ক্রিকেট মাঠে এর আগে বেশ কয়েক বার বড় দুর্ঘটনা হলেও মৃত্যুর ঘটনা মাত্র দ্বিতীয় বার ঘটল। ষোলো বছর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের হয়ে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ফিল্ডিং করার সময়ে মাথায় চোট পেয়ে মারা যান ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা। সে ক্ষেত্রে অবশ্য তাঁর হেলমেট ছিল না। ফিলের ক্ষেত্রে হেলমেট থাকা সত্ত্বেও ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তরুণ হিউজ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটমহলে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। টেস্ট অভিষেক ২০০৯ সালে। দেশের হয়ে ২৬টি টেস্ট এবং ২৫টি ওয়ান ডে খেলেছেন হিউজ। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪