’ বাবা দিবসের সূচনা
“বাবা দিবস”--পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি অকৃত্তিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। এবছর তাই ১৬ই জুন দিবসটি পালিত হচ্ছে।কিন্তু বাবা দিবস কখন ও কিভাবে প্রচলিত হয়?
“বাবা দিবস”পালন শুরু হয় গত শতাব্দীতে। মায়েদের পাশাপাশি বাবাও যে সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বশীল- এটি তুলে ধরতেই দিবসটির পালন শুরু।১৯০৮ সালের ৫ জুলাই প্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয়। আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় সর্ব প্রথম দিনটি পালিত হয়। আবার সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। তবে তিনি ১৯০৮ এর ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা জানতেন না। তিনি এই আইডিয়াটা পান এক গির্জায় পুরোহিতের বক্তব্য থেকে। সেই পুরোহিত মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তখন তার মনে হল বাবাদের নিয়েও কিছু করা দরকার।তার উদ্যোগেই পরের বছর,অর্থ্যাৎ ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে ‘বাবা দিবস’ পালন করা শুরু করেন।
ভিন্ন ভাষায় বাবা ডাক যেমন হয়’
বিভিন্ন দেশে বাবাকে বিভিন্ন ভাবে ডাকা হয়।চলুন দেখে নেওয়া যাক তা-
ইংরেজী ভাষায় -ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পপ, পপা বা পাপা!
ক্রোয়েশিয়ান -‘ওটেক’
ব্রাজিলিয়ান/পর্তুগিজ ভাষায় -‘পাই’। (নামটা শুইনা একটা বিখ্যাত মুভির কথা মনে পড়ে গেল)
ডাচ ভাষায় -পাপা,ভাডের আর পাপাই
ফিলিপিনো ভাষায় - তাতেই,ইতেই,তেয় আর আমা
জার্মান ভাষায় -"ফ্যাট্যা"
ড্যানিশ ভাষায় -"ফার"
ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় -বাপা কিংবা আইয়্যাহ
আফ্রিকান ভাষায় - “ভাদের”
চীনে ভাষায় - ‘বা’
কানাডিয়ান ভাষায় -‘পাপা’
হিব্রু ভাষায় - ’আব্বাহ্’(আমরাও অনেকে ‘আব্বা’ বলে ডাকি)
হিন্দি ভাষায় -পিতাজী!
জাপানি ভাষায় -ওতোসান,পাপা।
পুর্ব আফ্রিকান ভাষায় -‘বাবা’
হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় - পাপা, আপা,আপু,এদেসাপা।
বাংলাদেশী ভাষায় - বাবা, আব্বা, আব্বু, (অনেকে আবার ইস্টাইল কইরা পাপ্পা টাপ্পা ও ডাকে )