কিছুদিন আমি দেখি।
তারপরও আমি দেখি।
রাতিরের অন্ধকারে কখনো তারা পায়ে হেঁটে যায়,
কখনো বা ডাস্টবিনের খাবার তুলে খায়।
কখনো খায় তারা ধনীদের লাথি,
কখনো হয় তারা জ্যোতিহীন বাতি।
রেললাইনের বস্তিতে কিংবা পথের ধারে
বসে আছে গোমড়া মুখে থাকছে অনাহারে।
তুমি হাঁটো,সে হাঁটে ,আমিও তো হাঁটি-
কখনো বা ধরে থাকে ধনীদের পা দু'টি।
খাদ্য নাই ক্ষুধা আছে তাহাদের তরে-
ডাক্তার নাই পড়ে আছে মরণঘাতি জ্বরে।
পানি নাই যাহা আছে তাহাও ডাস্টবিনে,
মাঝে মাঝে ঐটুকুও খেতে হয় কিনে।
ভিক্ষা করে যাহা পায় তাহাও নষ্ট,
জীবনের অপর নাম শুধুই কি কষ্ট?
সবেরেই দাম বেড়েছে,বাড়েনি তাদের দাম,
তাদের দিয়ে দেশ কামাচ্ছে মহা মহা সুনাম।
বস্ত্র নাই যাহা আছে তাহাও মলিন ,
তাদের ছাড়া বাজছে দেশে রসেভরা বীণ।
খাবার জায়গা একটাই রেললাইনের পাড়ে,
কোন শিশু দেখে না কভু তাদের খুশি মা'রে।
চিকিৎসা তো অনেক দূরে যেন সোনার হরিণ,
ঔষধ যদি পায় একটু তাও দেয় জীন!
শিক্ষার কথা কি বলব আর না বলাটাই শ্রেয়,
এই কথাটা বলে তাদের করতে চাই না হেয়।
আমাদের নেতারা সব বড় কথা বলে,
নির্বাচিত হলে পরে ঢাকায় যান চলে।
জীবন তাদের কেমন কঠিন বলতে চাই না আর,
দয়া করে বুঝে নিবেন বিবেক আছে যার।
দেশের কথা বলছি মোরা তাদের কথা কই,
দেশপ্রেমিক হচ্ছি মোরা মানুষ প্রেমিক নই।
মানুষেরে বাসলে ভালো,বাসবেন ভালো তিনি,
দোজাহানের সৃষ্টিকর্তা , সর্বদ্রষ্টা যিনি।
সবাই মোরা ব্যস্ত আজ নিজেদের নিয়ে,
কে রাখবে তাদের খবর ঐ বস্তিতে গিয়ে।
একটি কথা আমিও বলছি শুনহে মানুষ ভাই-
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
[এই কবিতাটি লিখা ২০১১ সালের দিকে।ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার, তখন লিখালিখির শুরুর দিকের অবস্থা। মাথার মধ্যে ছন্দ ঘুরত শুধু,সেগুলো দিয়ে আবোলতাবোল কবিতা বানানো চলত।]
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২১