পুকুরঘাটে রজকিনির সলাজ চাহনীতে বড়শিবাহী চণ্ডীদাস
ঠিক কতবার মাতাল হতো তা জানি না
তবে প্রতিবার ভেজা চুলের ঘ্রাণে
ভালোলাগার বাতাসমুঠোয় ভরে ওঠে ফুসফুস ধমনীর ভেতর মহলে রক্ত নেচে ওঠে।
আমি প্রেমিক হতে শিখি।
জুলিয়েটের প্রাসাদে রোমিওর শেষ সাক্ষাত আমাকে আলোড়িত করে না
আমাকে ওলটপালট করে তোমার কোলে মাথা রেখে
আকাশমেঘে চোখ বুলিয়ে বৃষ্টিবিলাসকথন।
ভেতরের তোলপাড়ে হার মানে কালবৈশাখীর তাণ্ডবকোরাস।
আঙুল আদরে যখন হেসে ওঠে ভেজা চুল
কোমল স্পর্শগুলো রূপকথার কমল হয়ে ফোটে
ঠিক তখনই গহনকামের আশ্রয়চোখে খুঁজে পাই ট্রয়ের হেলেন।
বুকের ভেতরে টাইটানিকের ভাঙন হলেও
রোজের পেটে প্রজন্ম গুঁজে দিয়ে তুষারমাখা হিমেলজলে
ভাপধোঁয়ানো বিদায়বচনেও ভালোবাসা পেয়ে মরণ ভুলে যাই।
তর্জনিচোখে নানান বাহানায় হাজার কোটি চিত্রকল্পের পৃথিবী বুনলেও
কল্পচোখের চলচ্চিত্রে শুধু তোমার বিচরণই চিরন্তন হয়ে ওঠে।
একটি অসমাপ্ত চুম্বনভিসন্ধি পুষে রাখি মনের চিলেকোঠায়!
31 march 2016
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৪