প্রিয় সুমিত্রা,
শুরু করব কিভাবে, বুঝে আসেনা।
অনেকদিন চিঠি না লেখা, অনভ্যস্ত হাত
আর কলমের কালি শুকিয়ে গিয়েছিল
না লিখতে লিখতে। বেশ ক'বছর পার হলো
তোমার জানতে চাওয়ার প্রশ্নের উত্তর দেইনি।।
সেবার জানতে চেয়েছিলে না, কেমন যাচ্ছে দিন?
বুঝাতে পারবোনা। ছন্নছাড়া জীবনের সুখ।
ঠিক যেন শেষ প্রহরের সংগমের আনন্দ,
বাঁকিটা বুঝে নিও। সবটা কুয়াশাচ্ছন্ন।
কদিন আগে বেশ অসুস্থ হয়ে পরেছিলুম।
যে মানুষটা বড়ি গিলবে এই ভয়ে ভয়ে
ডাক্তারের নাম মুখে আনতোনা, সেই মানুষ
বেশ কদিন পরে ছিল হসপিটালে। সে এক
নরক যন্ত্রণা। "সিগারেট ছাড়ুন" বলেছিলে,
সেই একি কথা বললেন ডাক্তার বাবু ফের আমাকে।
আমি নাকি সব আয়ু দিয়েছি উড়িয়ে ধুয়ার সাথে।
সময় বেঁধে দিয়েছেনন ডাক্তার বাবু। তুমিই বল,
জীবন কি বেঁধে রাখা যায়?
মনে আছে?
এক ধূসর বিকালে, সেদিন ছিল শরতের বিকেল;
স্নিগ্ধ আলোয় কোমল কাশফুল ছুঁয়ে বলেছিলে,
"আপনার মত পৃথিবীতে আছে কোন সুখী?
আমাকে হারালেও আপনি এমনি সুখ সুখ ভাবে
কাটাবেন আপনার আমি পরবর্তি দিন গুলি।"
সুমিত্রা, আমার হারানো ঘুমের সুমিত্রা,
আমি জানিনা এখন কেমন আছো তুমি
কেমন আছে তোমার কাশফুলের মত অঙ্গখানি,
আমি শুধু জানি আমি আছি কেমন,
আমার সুখের সব আড়ালে। তুমি দেখে যেও;
বেশ সুখেই কাটছে দিন। বেশ সুখি এই আমি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৫