আজকের দিনে এক মারণঘাতী মহামারীর নাম ডিপ্রেশন। এটা কোনো অংশে ক্যান্সার বা করোনা ভাইরাসের থেকে কম না। কিন্তু আমরা অধিকাংশ মানুষ বিশেষ করে অভিভাবক শ্রেণীর মানুষেরা এটাকে ধার্তব্যের মধ্যে ধরি না বা ধরেন না।
অনেকের ধারণা, অলস বা কর্মবিমুখ মানুষ কিংবা প্রেমে ব্যর্থ হওয়া টিন এজার অথবা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া মানুষগুলোই শুধু ডিপ্রেশনে ভোগেন। ডিপ্রেশনের কারণ শুধুই এগুলি না। আরো হাজার টা কারণ থাকতে পারে ডিপ্রেশনের।
মোটা দাগে বললে পুরো পৃথিবীর প্রায় ২৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ৪ জনে ১ জন মানুষ মেন্টাল হেলথ ডিজঅর্ডার এ ভোগেন। শুধু মাত্র বাংলাদেশে ৭ মিলিয়ন আই রিপিট ৭ মিলিয়ন মানুষ বিষন্নতার রোগী। বিষন্নতা আস্তে আস্তে একজন মানুষ কে সুইসাইড এর দিকে ঠেলে দেয়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ২০২০ সালে কোভিড - ১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে তার থেকে বেশী মানুষ আত্মহত্যা করেছে। এই আত্মহত্যাকারী মানুষ গুলোর একটা বড় অংশ বিষন্নতার রোগী ছিলেন।
এবার আসি এর থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কি। টিনেজার দের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকা অনেক বেশী। সন্তান কে সময় দিন, নিয়মিত খোজ খবর রাখুন। দিন শেষে শুধু মাত্র তার জন্য একটা সময় বরাদ্দ করুন। যেসব সন্তান বাবা-মায়ের থেকে দূরে থাকেন তাদের বাবা-মায়ের উচিৎ দিনে অন্তত একবার সন্তানের সাথে ভালোভাবে কথা বলা, তার সব বিষয়ে বন্ধুর মতো আচরণ করে মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়া। অত্যন্ত মনোযোগের সাথে দাবী দাওয়া গুলি শোনা। যৌক্তিক দাবী হলে মেনে নেওয়া, অযৌক্তিক দাবী হলে বুঝিয়ে বলা।
আর প্রাপ্ত বয়স্ক (৩০ উর্দ্ধ) দের জন্য সবচেয়ে বড় চিকিৎসা হচ্ছে ওপেন আপ করা। বিশ্বস্ত একজন মানুষ এর কাছে সব কিছু উগরে দেওয়া। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আসতে পারে যাকে বলবো সে তো আমাকে জাজ করবে। এর সমাধান- সাইক্রিয়াটিস্ট এর এ্যাপয়েনমেন্ট নিন, তার সাথে পর পর কয়েক টা সেশনে বসুন। তাকে সব টা বলুন। উনি আপনার প্রতিটা ডিটেইল মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। কারণ এটাই ওনার প্রফেশন। শতভাগ নিশ্চিত থাকুন উনি আপনাকে জাজ করবেন না।