১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস আসতে বেশী দেরী যে নাই তা বুঝার জন্য কিউপীডেড় ঊড়াঊড়ী বা তীর ছুঁড়াছুঁড়ি করার দরকার নাই। গীফট শপ গুলার দিকে তাকালেই বুঝা যায়। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই এই দৌড়রে এগিয়ে। কিন্তু ভালবাসার প্রকাশে ততোটাই পিছিয়ে। কখনও কোন মেয়েকে দেখা যায় না ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটা বলতে। মনে মনে কাঊকে জড়িয়ে স্বপ্ন গোড়ছো প্রতিনিয়ত! অথচ বুক ফাটে তাও মূখ ফোটে না কেন মেয়েরা? কেন আশা কর যাকে ভালবাস সে এসে বলবে এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ‘ভালবাসি তোমাকে’ ! ভালবাসতে পারো তুমিও। তুমি হয়তো অপেক্ষা করেই যাবে আর অন্যদিকে ছেলেটি অন্য কারো সাথে লিপ্ত হবে প্রণয়ে! বললে হয়তো তার বাহুডোরে তুমিই থাকতে! কী ভাবছো?
না করে যদিঃ
ভালোবাসার প্রকাশে যেই করুক ছোটো হওয়ার কিছু নাই। নিজে বলার মাঝে একটা স্বাধীনতা থাকে। কাঊকে ভালোবাসা প্রকাশের মানেই হ্যাঁ শুনবেন তা না। রিজেকশন সহ্য করার ক্ষমতা রাখতে হবে মনে মনে। হ্যাঁ বা না এই দুটার একটা উত্তড়ের একটাই পাবেন। না করতেই পারে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব অভিমত আছে। অন্যের মতামতের সম্মান করুন।
উগ্র ভাববেঃ
খুব ভেবে চিন্তে যে ভালোবাসার সম্পর্কটা হয় সেই সম্পর্কটা ততো টাই ভাবায় পরেও। ভালোবাসা স্বর্গীয় তাই আপনার মনে যদি কারো জন্য সেই স্বর্গীয় অণুভূতিটি আসে তা প্রকাশে ভয় পাবেন না। মেয়ে বলে আপনি ভালোবাসি বললে উগ্র ভাববে না কেউ।
সারা জীবন ছোটো হবোঃ
প্রেম যদিবা হয়েও যায় সারাটা জীবন শুনতে হবে প্রস্তাব টা তুমি করেছিলে। ভেবে দেখ, সারাটা জীবন তুমিই বলতে পারবে ‘আমি তোমাকে বেশী ভালবাসি!’ সম্পর্কটার বশ তুমি নিজেই। সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে কখনোই কে আগে প্রস্তাব করেছিল এই প্রশ্ন ঊঠবে না! বরং সঙ্গীই ধন্যবাদ দিবে তোমাকে।
কোন রোগ নিয়ে বসে থাকতে নেই। অপ্রকাশিত ভালবাসা মানসিক যন্ত্রণা, টানাপোড়ন, দ্বিধার জন্ম দেয়, যা কোন রোগের চেয়ে কম নয়। তাই এই ভালবাসা দিবসে বলেই দাও ভালোলাগার মানুষটিকে। যদি নাই হয় তাও অস্পষ্টতা কেটে যাবে। তবে হয়েও যেতে পারে সুন্দর একটি সম্পর্ক। দুয়া রইলো। আমীন।