মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়।
ছালাম আমি করবো গিয়ে নবীর রওজা…
আরব সাগর পাড়ি দেব নাইকো আমার তরী
পাখি নই গো উড়ে যাব ডানাতে ভর করি
আমার আশা আছে সম্বলও নাই, করি কী উপায়।।
কাফেলাতে কে যাও তুমি কে যাও বেয়ে তরী
আমায় যাও না ও ভাই সঙ্গে লয়ে খানিক
সঙ্গে যদি না লও মোরে গিয়ে মদিনায়
এই গরিবের সালাম দিও মদিনার বাদশায়
আমার নামে দুটি বাতি দিও সে দরগায়।।
শিল্পীঃ আব্দুল আলীম
সুরকারঃ আব্দুল আলীম*
গীতিকারঃ আব্দুল আলীম*
১৯৪২ সাল। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়েছে। শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক এলেন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বড় ভাই শেখ হাবিব আলী আব্দুল আলীমকে নিয়ে গেলেন সেই অনুষ্ঠানে। আব্দুল আলীমের অজ্ঞাতে বড় ভাই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছে তাঁর নাম দিয়ে ছিলেন গান গাইবার জন্য। এক সময় মঞ্চ থেকে আবদুল আলীমের নাম ঘোষণা করা হলো। শিল্পী ধীর পায়ে মঞ্চে এসে গান ধরলেন, ‘‘সদা মন চাহে মদিনা যাবো।’’ মঞ্চে বসে আবদুল আলীমের গান শুনে শেরে-বাংলা শিশুর মতো কেঁদে ফেললেন। কিশোর আলীমকে জড়িয়ে নিলেন তাঁর বুকে। উৎসাহ দিলেন, দোয়া করলেন এবং তখনই বাজারে গিয়ে পাজামা, পাঞ্জাবী, জুতা, পুটি, মোজা সব কিনে দিলেন। এরপর একদিন গীতিকার মোঃ সুলতান কলকাতায় মেগাফোন কোম্পানীতে নিয়ে গেলেন আবদুল আলীমকে। সেখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। কবি নজরুল শিল্পীর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে রেকর্ড কোম্পানীর ট্রেনার ধীরেন দাসকে আবদুল আলীমের গান রেকর্ড করার নির্দেশ দিলেন। ( ইন্টারনেট)
** তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যাইনি।