একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে।
থাকের একটা কেস বানাইয়া মেশিন দিলো তার ভিতর
ওরে রং বেরংয়ের বার্নিশ করা দেখতে ঘড়ি কি সুন্দর।
ঘড়ির তিন পাটে তে গড়ন সারা
এই বয়লারের মেশিনের গড়া।।
তিনশ ষাটটি ইশকুররম মারা ষোলজন পাহারা আছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে
একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।।
ঘড়ি হেয়ার স্প্রিং ফ্যাপসা কেচিং লিভার হইলো কলিজায়
আর ছয়টি বলে
আজব কলে দিবানিশি প্রেম খেলায়।।
ঘড়ি তিন কাটা বার জুয়েলে, মিনিট কাটা হইলো দিলে।।
ঘন্টার কাটা হয় আক্কেলে
মনটারে সেকেন্ডে দিসে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে
একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।
ঘড়ির কেসটা বত্রিশ চাকের, কলে কব্জা বেসুমার
দুইশো ছয়টা হাড়ের জোড়া, বাহাত্তর হাজারও তার।।
ও মন, দেহঘড়ি চৌদ্দতলা, তার ভিতরে দশটি নালা,
একটা বন্ধ নয়টা খোলা গোপনে এক তালা আছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে
একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।
ঘড়ি দেখতে যদি হয় বাসনা
চলে যান ঘড়ির কাছে,
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে ঘড়ির ভিতর লুকাইছে।।
পর্দারও সত্তর হাজারে
তার ভিতলে লড়ে চড়ে।।
জ্ঞান নয়ন ফুটলে পরে দেখতে পারবেন চোখের কাছে।
ওস্তাদ আলাউদ্দিনে ভেবে বলছেন,
ওরে আমার মন বোকা।।
বাউল রহমান মিয়ার কর্মদোষে হইল না ঘড়ির দেখা।
আমি যদি ঘড়ি চিনতে পারতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইবো
কেমন যাই মিস্ত্ররীর কাছে?
মন আমার দেহঘড়ি
সন্ধান করি, কোন মিস্ত্রী বানাইছে।
মন আমার দেহঘড়ি
একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে।
সুর ও সঙ্গীতঃ আব্দুর রহমান বয়াতী
এই গানটি অনেক শিল্পীই অনেক লিরিক্সে গেয়েছেন। কেউ ছোট করে, কেউ প্যারা উলটপালট করে, এমনকি কয়েক লাইন পরিবর্তন করে। কিন্তু এই
গানটি মূলত আব্দুর রহমান বয়াতীর এবং এখানে এটির আসল লিরিক্সটি দেয়া হল।