মনের আকাশ
মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেল চিল
ক্লান্ত অবষন্ন দেহে বসে আছি ঘাসে
এখানেও শান্তি নেই জোঁক তেড়ে আসে
মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে মনের আকাশ।
অহেতুক পুকুরেতে ছুঁড়ে মারি ঢিল
চুল গুলো উড়ে যেন দক্ষিণা বাতাসে
প্যাঁক প্যাঁক শব্দ করে দু’টি পাতি হাঁসে
পারিনা দূঃখের কথা করতে প্রকাশ।
মনের জমানো কথা মনে থেকে যায়
কে শুনে সে কথাগুলো? বাস করে মনে
বহু কথা অবশেষে আড়ালে হারায়।
পাঁচটা জোঁক পুকুরে আমি কার সনে?
ঘাসে বসে চিল দেখি দেখি কলা গাছ
পুকুরে কতেক দেখি ছোট বড় মাছ।
ভীক্ষুক ভাবনা
মুখের ভিতর শক্ত দাঁতগুলো খুব
চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে ইচ্ছে করে
তবে দাঁতগুলো খেলে অতঃপর অন্য
খাবার কেমন করে খাব অবশেষে?
সে চিন্তায় সামলিয়ে চলি তীব্রলোভ!
দাঁতগুলো রক্ষা পায়, এর পরিবর্তে
গুঁড়ো গুঁড়ো করে ফেলি মুড়ি ও বিস্কুট
পেটের মোচড় কমে কিঞ্চিত প্রশান্তি।
পরিবার ঘর নেই, খাবার পরের
দয়ায় চলে আমার। কাজ কি জানিনে
সেতো পারিনে করতে, এটুকুই জানি।
ভিক্ষুক তাড়ন চলে আজকাল দেখি
এদিকে ওদিকে ছুটে খয়রাতি সব
কি হবে এবার তবে ভাবি বসে একা।
বুভুক্ষ ও বড়লোক
বুভুক্ষ মানুষদের দল এলোমেলো
ক্ষুধায়।ওরা ভীষণ কষ্টে কাতরায়
অথচ কত রকম মানুষেরা খায়
কত সব মজাদার সুস্বাদু খাবার।
সে সকল স্বার্থপর অমানুষগুলো
নিত্য নতুন আনন্দে শুধু তড়পায়
গরীবের আহাজারী দেখে মজাপায়
ওদের সময় নেই পিছে তাকাবার।
নিত্য নৃত্য মদ্যপান ফুর্তি চলমান
থাকে সকল বেলায়।ওরা অগণিত
সম্পদ আহরণের প্রচেষ্টার টান
অনুভব করে মনে কি অপরিমিত!
সকল হিসেব মতে ওরা বড়লোক
সেজন্যে বুভুক্ষে বলে ঘৃণ্য ছোটলোক।
কাঁচামাথা মানুষেরা
বিজ্ঞানের লব্ধজ্ঞান বড় হয়ে গেল
আল্লাহর থেকে। তারা করে অনুভব
বিজ্ঞান তাদের শুধু জীবনের সব
এতে আছে সমস্যার সব সমাধান।
জীবনের সব যাঁর কাছ থেকে পেল
ভয় নেই তাঁর থেকে আসায় গজব
অকৃতজ্ঞতায় করে কি কন্ঠ সরব
মানীকে এভাবে তারা করে অপমান।
কাঁচামাথা মানুষেরা করে অবিচার
বিধাতার প্রতি চির ভুলে থেকে তাঁকে
বুঝেনা এতেই হবে জীবন অসার।
মানুষেরা বসে আছে বিপদের বাঁকে
আল্লাহর চেয়ে অন্যে দিয়ে বেশী দাম
বুঝেনা কতটা এটা করছে অকাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬