জীবনে বাঁচতে গেলে কত কিছু লাগে
অভাব এসে সরবে দুয়ারে দাঁড়ায়
পরিশ্রম সৌভাগ্যের সৌরভ ছড়ায়
হিসেবের আস্তাবলে কর্মঘোড়া বাঁধা।
সুখের স্বপ্নরা সব কল্পনিশি জাগে
সমস্যা হাজার এসে চলে পায় পায়
হতাশায় অনেকেই হয় নিরুপায়
দায়িত্বের পথ মাঝে পড়ে কত বাধা।
রাত কাটে দিন কাটে বয়সটা বাড়ে
মনে হয় শুনি যেন ওপারের ডাক
বিদায়ের পরোয়ানা বয়ে চলি ঘাড়ে।
স্মৃতিময় কথাগুলো থাক পড়ে থাক
যাত্রা পথে মুসাফির কমাও বিশ্রাম
গন্তব্যে পৌঁছার পর করবে আরাম।
কবিতার পটভূমিঃ খাটের নীচে নারিকেল রাখা ছিল। গিন্নীকে জিজ্ঞাস করলাম ওটা পড়ে আছে কেন? তিনি বললেন, তৈল নেওয়া হবে। তখন বললাম, ‘জীবনে বাঁচতে গেলে কত কিছু লাগে’। গিন্নীকে বললাম, বাক্যটা কিন্তু চৌদ্দ অক্ষর হয়ে গেল। তারপর সে বাক্য থেকে টানতে টানতে গন্তব্যের বাক্যে গিয়ে শেষ করলাম। গিন্নীকে বললাম নারিকেল থেকে কবিতা শুরু করেছি, এখন কবিতার নাম কি নারিকেল হবে? গিন্নী বললেন, না, কবিতার নাম হবে গন্তব্য। বললাম, তবে তাই হোক।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১