আমেরিকানরা ৫/১০ মিনিটের বেশী কোন বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শোনে না; সেজন্য বক্তাকে মুল কথা দিয়ে শুরু করতে হয়। কমলা ইহাতে বারবার ফেল করছে; তিনি ঘুরায়ে ফিরায়ে কম গুরুত্বপুর্ণ বিষয় দিয়ে শুরু করেন; শেষের ১০ মিনিটে উনি অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন, যা খুবই ডিটেইলস, যা মানুষের পক্ষে মনে রাখা কষ্টকর।
আমেরিকানরা আসলে নারীর গর্ভপাত নিয়ে লম্বা কথা শুনতে চাহে না। যদিও বিয়ের পুর্বে অনেক মেয়েই গর্ভ ধারণ করে থাকে, মানুষ পছন্দ করে যদি সে সন্তানের জন্ম দিয়ে তাকে মানুষ করে। কিন্তু অনেক তরুণীর পক্ষে ইহা সম্ভব হয় না দেখে তারা গর্ভপাত করাতে বাধ্য হয়, ইহা তাদের অধিকার; কিন্তু ইহা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা কেহ পছন্দ করে না। কমলা ইহা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে, নারীদের সমর্থন পেয়ে ভোটে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে।
আমেরিকানরা জানে যে, আমেরিকার কংগ্রেস ও সিনেট খুবই শক্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান; এখানে গণতন্ত্রকে ধ্বগস করা খুব একটা সহজ হবে না; কমলা ৪/৫ মিনিট ব্যয় করে ট্রাম্পকে দোারোপ করে, ট্রাম্প এবার জয়ী হলে আমেরিকায় গণতন্ত্র থাকবে না; ইহা নিয়ে সময় নষ্ট না'করে ইহা মানুষের হাতে ছেড়ে দিলে ভালো হতো।
কমলা আমেরিকার মতো দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো যোগ্য নারী নন; কিন্তু গণতান্ত্রিক সিষ্টেমের কারণে তিনি প্রার্থী হয়ে গেছেন। কমলা হয়তো জয়ী হতেও পারেন; কিন্তু সেটা উনার যোগ্যতার করণে নয়, সেটা ঘটতে পারে, ট্রাম্পের দুর্বলতার কারণে। তার বিপক্ষে দাঁড়ায়েছে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে কলংক ও অপরাধের নায়ক, ট্রাম্প। আমেরিকার মতো দেশে ট্রাম্পের মতো লোক কি করে প্রার্থী হতে পারলেো? ইহাই ক্যাপিটেলিজমের একটা ভয়ংকর দিক! সে বিলিওনিয়ার ও কৌশলী রেসিষ্ট; ক্যাপিটেলিজমে, ধনীরা ধনীদের সাহায্য করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩০