আজকে কোটা ও লোটার আন্দোলন যারা করছে, তাদের সিনিয়র ভাইয়েরাই দেশ চালাচ্ছে; ওদের সিনিয়র ভাইয়েরা কোটা ও লোটার প্রশাসন চালাচ্ছে। আসলে, সভ্যতার এই সময়ে কোটা, লোটা নিয়ে মারামারি হচ্ছে, কারণ আমাদের জাতিকে কোটা ও লোটার মাঝে আটকায়ে রেখে দিয়েছে ঢাকা, জাহাংগীর নগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রমাম ইউনিভার্সিটির গ্রেজুয়েটরা; ওরাই দেশ চালাচ্ছে; এসব লোটারা সরকারী চাকুরী ক্রয়/বিক্রয় করে; কিন্তু চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না।
এখন যারা ছাত্র, তাদের একাংশ কোটার বিবর্তন চাচ্ছে, আরেক অংশ তাতে বাধা দিচ্ছে! ইহা কিভাবে সম্ভব? ইহা সম্ভব হচ্ছে, কারণ এদের বড় অংশই আচরণের দিক থেকে ছাত্র নন, এরা বড় জোর ফেইসবুকার ও মাফিয়া। এদের পুর্ব জেনারেশনও এদের মতো ছিলো। এদেরকে কোটা ও লোটা দেয়া হলেও, এরাই আগামী ১০ বছর পরে নতুন জেনারেশনকে কোটা ও লোটার মাঝে আটকাবে।
আমি আমেরিকায় ফুলটাইম চাকুরীর পাশাপাশি পার্টটাইম কলেজে পড়ায়েছি; আমেরিকায় যাদেরকে ছাত্র বলা হয়, এদের সাথে বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের তুলনা করলে, বাংলাদেশেরগুলো ছাত্র নয়, তারা কোটাতে আটকানো প্রিজনার, এখন তারা ফেইসবুকার ও মাফিয়া।
শেখ হাসিনা সময়, সুযোগ ও দরকারের বেশী সাপোর্ট পেয়েছিলেন, তিনিও কোটা ও লোটা থেকে ছাত্রদের মুক্তি দিতে পারেননি; ইহার কারণ হতে পারে, তিনি কোটা অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চাকুরীটা পেয়েছেন ও আনন্দের মাঝে আছেন; অন্যদেরও যে চাকুরীর দরকার আছে, সেটার সিগন্যাল উনার হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে না । কোটা আন্দোলন শেষ হবে একদিন, তারপরও বেকারের সংখ্যা বাড়তে থাকবে; কারণ, যারা ভালো কোটার সুযোগে প্রশাসনে আসবে, তারা ভালো কোটার মাঝে নতুন জেনারেশনকে আটকাবে, চাকুরী দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে সরকারী চাকুরী কিনে নিতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫২