আজ, বৃস্পতিবার (৬/২৭/২০২৪, নিউইয়র্ক সময় সন্ধ্যা ৯'টা) আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১ম ডিবেইট অনুষ্ঠিত হবে বাইডেন ও ট্রাম্পের মাঝে। ইহা বেশ কয়েকটি কারণে অস্বাভাবিক: এই ধরণের ডিবেইট হয়, দলগুলোর ফাইন্যাল ক্যান্ডিডেট নির্বাচিত হওয়ার পর, আমেরিকায় এখনো প্রাইমারী চলছে; প্রেসিডেন্ট পদের ১ম বিতর্ক কোন মিডিয়া করে না, করে থাকে The Commission on Presidential Debates; এবার ওরা করছে না; সবাই চিন্তিত যে, অভদ্রভাবে কথা বলবে ট্রাম্প।
ট্রাম্প ডিবেইট করতে জানে না; কিন্তু সে বাইডেনের কিছু দুর্বল দিক ( বাইডেনের ছেলের জেলের সম্ভাবনা, ইমিগ্রেশন, বেশী খরচ, ইনফ্লেশন ) নিয়ে, ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে হরিপুর ও গোরিপুরের লোকদের মত গোলযোগ লাগিয়ে দিবে; এতে বাইডেন রেগে যাবার সম্ভাবনা; আমেরিকানরা ডিবেইটে কেহ রেগে গেলে পছন্দ করে না। বয়স-জনিত কারণে বাইডেন কিছুটা শ্লো-রেসপনসিভ ও মুল পয়েন্টের উপর আলোকপাত করতে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরেকটি সমস্যা হবে, ডিবেইট শেষ হওয়ার সাথে সাথে ট্রাম্প দাবী করবে যে, সে ভালো করেছে, ডিবেইটে জয়ী হয়েছে; ডিবেইটকে এনালাইসিস করতে কিছুটা সময় লাগবে।
এবারের নির্বাচনে মানুষ কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে ভোট দিবে: (১) ইনফ্লেশান( অর্থনীতি ) (২) বেআইনী ইমিগ্রেশন (৩) ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধে বর্তমান সরকারের ভুমিকা।
আমেরিকার এবারের নির্বাচনটা হবে এক ভয়ংকর নির্বাচন; এই নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে, আমেরিকার সমাজ ব্যবস্হায় বিশাল পরিবর্তন আসবে, আমেরিকার এক প্রক্তন সমস্যা রেসিজম আবার বিশালভাবে ফিরে আসবে; মানুষ ভয়ে আছে। বাইডেনের স্বাস্হ্য ভালো নয়, নির্বাচনের পর, কোন এক সময়ে যদি বাইডেনের মৃত্যু হলে, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবে; এই অপদার্থকে কেহই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাহে না; ইহা একটি সমস্যা।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫