আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার মাংস বিক্রেতা, ছাত্রলীগের সভাপতি, শিবিরের ক্যাডার, একজন আদম ব্যাপারী, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আপনার বাচ্চার টিউটর, ইলিশ মাছ বেপারী, প্রাইভেট হাসতালের ডাক্তার, সোনালী ব্যাংকের কোন ম্যানেজারের ইন্টারভিউ ছাপা হলে, তার শতকরা কত ভাগ মিথ্যা থাকার সম্ভাবনা আছে?
আমার ধারণা, যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময় 'লাই-ডিটেক্টটর' (পলিগ্রাফ পরীক্ষা ) যোগ করে, ইন্টারভিউ ছাপা হলে, এবং উহাতে কি পরিমাণ মিথ্যা থাকার সম্ভাবনা আছে, সেই সংখ্যাটা উল্লেখ করলে, পাঠকেরা উপকৃত হবেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া, এরশাদ, জিয়া, তারেক রহমান, ওবায়দুল কাদের ও রিজভীর ইন্টারভিউ পড়ে দেখিনি। শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ থেকে আমাদের ব্লগার হাসান কালবৈশাখী মাঝে মাঝে এটাসেটা উল্লেখ করেন; সেজন্য হাসান কালবৈশাখীর কোন পোষ্ট ও মন্তব্যে আমার ১ পয়সারও বিশ্বাস নেই।
সিএনএন'এর ক্রিসিয়ান আমানপোর যখন আমাদের পিএম'এর শেষ ইন্টারভিউ নিচ্ছিলো, তখন বেশ গন্ডগোপল হয়েছিলো, উহা শেষ করতে কয়েক দফা বসতে হয়েছিলো ও আমানপোরকে সিএনএন অফিসিয়েলী সতর্ক করে দিয়েছিলো, ১ জন প্রাইম মিনিষ্টারের সাথে বিতর্কে জড়ানোর জন্য। আমানপোর সিএনএন'কে জানিয়েছিলো যে, প্রাইম মিনিষ্টারের তথ্যে সত্যের অনুপস্হিতি থাকায়, সামান্য তর্ক-বিতর্ক হয়েছিলো; আসলে, উহা সামান্য বিতর্ক ছিলো না; অনেক কথা কথাকাটাকাটির কারণে প্রাইম মিনিষ্টার ইন্টারভিউ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। আমি আমানপোরের পক্ষে।