নাতেনিয়াহু শর্ত দিয়েছে, সবকিছুর আগে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে, শুধু তারপর আলোচনা। ইসরায়েলী বাহিনীর গাজায় প্রবেশ বাইডেন কয়েকদিন থামিয়ে রেখেছিলো; সে কিসের আশায় থামিয়ে রেখেছিলো? সে ভেবেছিলো, জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।
যদি জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব হতো, অবস্হা অন্য রকম হতো, নাকি ঠিক এই রকমই হতো?
আমেরিকার ফরেন সেক্রেটারী এখন ইসরায়েলে, নেতানিয়াহুর সাথে আলাপের পর, আরব লীডারদের সাথে কথা বলেছে, মাহমুদ আব্বাসের সাথে কথা বলেছে, তুরস্ক গিয়ে এরদেগানের সাথে কথা বলবে। আরব লীডারেরা যুদ্ধবিরতি চেয়েছিলো, ব্লিংকেন না'করে দিয়েছে! "না"এর বিপরিতে আরব লীডাররা কোন ধরণের পাল্টা প্রস্তাব দিতে পারেনি। তাদের করার মতো কি ছিলো, কি আছে?
বাইডেন ১ সপ্তাহ চেষ্টা করেছিলো জিম্মিদের মুক্ত করতে; কিন্তু পারেনি। যেহেতু সব আরবদেশ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা চায়, তাদের সাথে পিএলও ও হামাসের ঘনিষ্ট সম্পর্কে থাকার দরকার ছিলো। যদি হামাসের সাথে আরব নেতাদের ঘনিষ্টতা থাকতো, তারা জিম্মিদের মুক্ত করতে পারলো না কেন?
আমার কয়েকটি পোষ্টে , ৩/৪ জন ব্লগার কমেন্ট করেছেন যে, বাইডেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো। ১ জন ব্লগার বাইডেন সম্পর্কে বলেছেন, "সর্প হইয়া দংশন করে ওঝা হইয়া ঝাড়ে"।
বাইডেনের চেষ্টা সফল হলে, জিম্মিদের মুক্তি দিলে অনেক কিছু বদলে যেতো; কিন্তু হামাস জিম্মিদের ছেড়ে দেয়নি আজো! এখন মধ্য গাজা থেকে দক্ষিণ গাজা অবধি প্রায় ২০ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে; এদের মাঝে পিএলও ও সাধারণ ফিলিস্তিনীরা আছে। এরা বিশ্বের বিবিধ মিডিয়ার সাথে কথা বলছে; শতশত পরিবার তাদের শিশুদের হারায়েছে। ১ পরিবারের ১ জন সদস্য সিএনএন'এর সাথে কথা বলেছে; সেই পরিবারের ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে; কিন্তু সেই লোক হামাসের উদ্দেশ্য বলেনি, "জিম্মিদের ছেড়ে দাও"।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৮