

সেই কেজি-টু এর ভর্তি থেকে যে পরীক্ষা জীবন শুরু করসিলাম তা এখনও শ্যাষ করতে পারলাম না।তবে এবার প্রফেশনাল এক্সাম দিতে গিয়া বুঝলাম ‘ হাউ মেনি পেডি , ইন হাউ মেনি রাইস।’

হায়রে , আগে পরীক্ষা দিতাম ৮০+ পাওনের লাইগা, আর এহন দেখি পাশ লইয়াই টানাটানি ।কোন মতে কানের পাশ দিয়া বুলেটখান পার হইতে পারলেই রক্ষা । আমগো পরীক্ষাগুলান আবার চরম ভ্যাজাইল্লা ।কোন কোন টাতে পাশ মার্ক-ই ৮০ (১০০ তে


) পরীক্ষাগুলান আবার ঢাকায় যাইয়া দিতে হইসিল …………আমাগো সুন্দর
একাডেমি ছাইড়া বস্তাপঁচা ঢাকায় প্রায় এক মাস হোটেলে ছিলাম,তার উপ্রে পরীক্ষাও মাশাল্লাহ একেক্টা সেই রকম হচ্ছিল , মেজাজ-মুজাজ তাই সবার পুরাই বিখাউজ………।এই পরীক্ষা সময়কালীন কিছু ঘটনা শেয়ার করছি……



পরদিন ওশান নেভিগেশন পরীক্ষা ( অনেকটা ম্যাথমেটিক্সের মত )……৫-৬ ঘন্টা পইড়া মাথার ঊকুন সব মরার দশা


।এই সময় এক ফ্রেন্ড কয় সে পরীক্ষা দিবে না… তার মাথায় বলে কিসসু ঢুক্তাসে না


।তারে কিছুক্ষন বুঝাইলাম……লাভ নাই……অবশ্য নিজের অবস্থাই কেরোসিন……।।রাত দশটার দিকে আরেক ফ্রেন্ড রুমে আইসা চোখ বড় বড় কইরা তাকাই আছে…।কয় ‘ দোস্ত মাথা হ্যাং হইয়া গেসে ’......আমি নিজেও টেনশিত হয়া গেলাম……এ সময় আমাদের এক সিনিয়র ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন ‘ কি ব্যাপার , তোমাদের প্রিপারেশনের কি অবস্থা ? ’ আমি বললাম ‘ স্যার , অলরেডি এক উইকেট পড়ে গেসে আর একজন রিটায়ার্ড হার্ট ’



ব্লগ আর ফেসবুকে যেখানে যত জোক্স পাই মোটামুটি সবই মনে রাখার চেষ্টা করি আর ফ্রেন্ডদের মাঝে সেগুলা বিতরন করি ।পরীক্ষার আগে মাঝে মাঝে যখন মাথামুথা জ্যাম হয়ে যেত তখন কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে , জোক্স বলে মাথা ঠান্ডা করার ট্রাই করতাম।তো আমার এক পরীক্ষার আগে চার দিন গ্যাপ থাকায় আমি আমার ঢাকার এক বন্ধুর বাসায় গেলাম ।পরদিন আবার আমার আরেক বন্ধুর পরীক্ষা ।সকালবেলা আমাকে ফোন করল ‘ দোস্ত,আজকে এম্নেই প্রিপারেশন খারাপ, মাথা-মুথাও গরম ,তার উপ্রে তোর জোক্সও শুনি নাই ।একটা জোক্স শুনা……। আমিতো থ!!! আমি কইলাম ‘ দোস্ত , পরীক্ষা দিয়ে আসার পর তোর মনতো এমনেই খারাপ থাকবে ,তখন-ই শুনাই ।’


ওরাল ( ভাইভা এক্সাম ) আরেক মজার ।আমরা ফ্রেন্ডরা একেকজন এক এক ধরনের জাহাজ (যেমন – বাল্ক , কন্টেইনার , কেমিক্যাল ) চাকরি করেছি । তো ভাইভা যিনি নেন সেই স্যার আবার যে যেই ধরনের জাহাজে ছিল তাকে সেই জাহাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস না করে অন্য ধরনের জাহাজ সম্পর্কে জানতে চান । তো আমার এক ফ্রেন্ড ওয়েল ট্যাঙ্কারে ( তেল পরিবহনকারী )ছিল । স্যার ওকে ওয়েল ট্যাঙ্কার সম্পর্কে অনেকগুলো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগলেন।ফ্রেন্ডটাও খুশি মনে উত্তর দিচ্ছে ।কিছুক্ষন পর স্যার বললেন ‘ ওকে জেন্টেলম্যান , নাও উই উইল স্টার্ট দা এক্সাম



আর ফ্রেন্ডটা ভাবছে …… এতক্ষন কি দিলাম ।
** পরীক্ষার ব্যস্ততার কারনে অনেকদিন ব্লগ লেখা হয় না.....আবার শুরু করলাম
** আমার নিরাপত্তা জনিত কারণে পোষ্টে বন্ধুদের নাম দিলাম না
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯