আব্রাহাম লিংকন এর বিখ্যাত উক্তি “গর্ভমেন্ট অফ দি পিপল বাই দা পিপল ফর দি পিপল” আসলে পিপলটা কে যারা বিএনপি-জামাত করে তারা নাকি যারা আওয়ামীলীগ করে তারা নাকি যারা জনজীবন শ্বাপদসংকুল করে তুলে তারা। সকল দল মত নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করেন যে সংঘাত ভালো নয় । কিন্তু সংঘাতকেই যেন রাজনীতির মাঠের একমাত্র পাথেয় ভাবতে শুরু করেছেন রাজনীতিকগন কেননা আলোচনা করলে তো মানুষের জীবন ক্ষয় হবেনা মালের ক্ষতি সাধন হবেনা, আর এসব যদি না হয় তবে আবার কিসের আন্দোলন । আন্দোলন হতে হবে সহিংস যাতে রক্তের বন্যায় ভেসে যায় অন্যায় তবে হ্যাঁ ন্যায় অন্যায় বড় কথা নয় রক্তই মূল কথা যত রক্ত তত তাজা আর গরম খবরে মুখর থাকবে মিডিয়া গুলো রক্ত না থাকলে মিডিয়াগুলোতে থাকবে “নিরুত্তাপ হরতাল” এর খবর যা রাজনৈতিক নেতাদের বড় হতাশ করে তুলে তারা বড় বিব্রত বোধ করেন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে পবিত্র সংবিধান কাঁটাছেড়া করতে খুব ভালোবাসেন তার যেন প্রতিজ্ঞা করেই ফেলেন আজীবন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার, হয়তো ক্ষমতাবানদের উপর থেকে এখনো ব্রিটিশ বা পাকিস্তানি ভূত নামেনি । ক্ষমতাবানরা এই চিন্তাতেই মগ্ন থাকেন সারাক্ষন খোঁচা দিয়ে কিভাবে বিরোধীদলকে কোনঠাসা করা যায় কিভাবে তাদের দামিয়ে রাখা যায় কিভাবে সহিংস করে তোলা যায় যেন বিরোধীদলের সাথে বিরোধিতাই তাঁদের মূল কাজ। বিরোধীদলও এই খোঁচার সদব্যবহার করতে পিছপা হয়না তারাও ঝাঁপিয়ে পড়ে বিপন্ন গনতন্ত্র রক্ষার নামে তান্ডবলীলায় ।আর জনগন, সব জনগন নয় যারা আওয়ামীলীগ করেনা বি এন পি করেনা জামাত করেনা, যারা কোন রাজনীতির আগেপিছে নেই তারা, যারা দু বেলা পেটপুরে খাওয়ার জন্য সংসারটা সচল রাখার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে, যাদের একটা দিন কাজ না করলে পরিবারসুদ্ধ উপোস করতে হয়, জনগন তারা যারা রাস্তায় অঘোষিত যুদ্ধের মধ্যো নিজের জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র অবল্মবন চাকুরীটাকে টিকিয়ে রাখতে আফিস যেতে হয় কখনো কখনো এদেরকেই বাসের ভিতর আগুনে পুড়ে যাওয়া লাশ হতে হয়, জনগন তারা যাদের শিক্ষাজীবন রাজনৈতিক সহিংসতার দরুন দীর্ঘায়িত হয় , জনগন এদেশের কোটি শান্তিকামী মানুষ যারা চায় রাজনৈতিক নেতাদের সৌহার্দপূর্ন সম্পর্ক, যারা চায় শান্তির গনতন্ত্র।
কয়েকদিন থেকে একটি জুসের বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছে “বদলে গেছে আখলাক ভাই সামনে নির্বাচনে ভোট চাই” জুস কোম্পানীর বিজ্ঞাপনটির দাবি তাদের জুস এত পিউর যে খেলেই বদলে যাবে সবাই তাই আখলাক ভাইও বদলে গেছেন কিন্তু বাস্তবের আখলাক ভাইরা বদলেন না তারা যেন না বদলানোর দিব্যি নিয়েছেন তাদের মূল কাজই হলো বিপক্ষ দলের বিরোধিতা করা নির্বাচনে জিতলে চিত্কার করে বলে বেড়ানো নির্বাচন সুষ্ঠ, স্বচ্ছ এবং নিরেপেক্ষ হয়েছে আর হেরে গেলেই কান্নাকাটি করে বলতে থাকেন এ নির্বাচনে সুক্ষ এবং স্থুল কারচুপি হয়েছে জনগন এ পরাজয় প্রতখ্যান করেছে।আর এখন তো দেখতেই পাচ্ছি একদলের আখলাক ভাই অন্যদলের আখলাক ভাইকে সহ্য করতে পারছেননা, তারা ক্রমশ: হয়ে উঠছেন সহিংস আর এ সহিংসতার বলি হচ্ছি আমরা আম জনতা। তাই বলি আখলাক ভাইরা কখনো বদলননা তারা অন্য ধাতের মানুষ, তাদের বোধহয় বদলানো সম্ভব নয়। এ দেশের কোটি মানুষের মতো আমিও স্বপ্ন দেখি আখলাক ভাই বদলে যাবেন এদেশে শান্তি আসবে সংঘাত পরিহার করে তারা আলোচনায় বসবেন সরকারী দল বিরোধী দল একে অপরের সাথে মিষ্টি ভাষায় কথা বলবেন। দেশের সব সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। দেশে শান্তি ফিরে আসবে গড়ে উঠবে সোনার বাংলা।(যদিও এই চাওয়ার কোন মূল্য নেই)