অনেক অনেক দিন পর
যখন একদিন তোমায় দেখি,
কেমন অচেনা অথচ চেনা চেনা লাগে।
অজানা সমুদ্র পথে হারিয়ে যাওয়া
ভীত, রোমাঞ্চিত নাবিক এই আমি!
দিগন্তে ঢোলে পড়া গাঢ় মেঘদল,
ছুঁয়ে যায় যেন দূরের পাহাড়ের চুড়া।
থেমে থেমে কেঁপে উঠে অভিমানি হাওয়া
অঝোর বর্ষায় স্নিগ্ধ হতে চায়, শান্ত হতে চায়,
একবার, শুধু একবার স্নিগ্ধ হতে চায়,
এই চাতক মন আমার।
অথচ কি নির্মম এই সত্য!
আমি জানি না আজ, কিভাবে হাত বাড়িয়ে
তুলে নিতে হয় পদ্ম,
কেড়ে নিতে হয় পদ্ম,
ছিঁড়ে নিতে হয় ঐ পদ্ম।
এই হাত আজ জানে শুধুই দাঁড়ের স্পর্শ,
আর জানে ধনুকের ছিলায় তীরের ব্যবধান।
কোন এক গহিন রাতে যখন ধ্রুব তারা
ঢাকা পড়েছিল মেঘে,
রাইন নদীর মাঝি হাত রাখে মাস্তুলে,
কি ভীষণ ছিল সেই রাত,
তুমি জানোনি তা কোনদিন!
ভোরের কুয়াশা ছাড়িয়ে তোমার রূপকথার দেশে
এ যুদ্ধের গান গায়নি কোন পাখি,
বড় রুক্ষ, রুদ্র এই সুর
বসন্তের পাখিরা কভু গায় না এ গান।