শুভচ্ছো!
বন্ধুত্ব দিবসে ব্লগার বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা! বাকিটুকু পড়ুন
বন্ধুত্ব দিবসে ব্লগার বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা! বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগবন্ধুদের সবাইকে শুভ বিজয়ার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই! সবাই ভাল থাকুন। প্রচুর লিখুন। প্রচণ্ড রকমের ইচ্ছে থাকলেও আমি লেখার সময় পাচ্ছি না আপাতত:, আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই সময় পাব। বাকিটুকু পড়ুন
হাসপাতালে সকাল আটটা নাগাদ একটি ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দিল পাগলী মেয়েটা। বাইরের পৃথিবীর এক কণাও ধুলো-ময়লা শিশুটাকে স্পর্শ করেনি। শিশুটাকে অবাক বিস্ময়ে দেখতে দেখতে মিমি গায়ত্রীর একটা হাত শক্ত করে ধরে ফিস ফিস করে বলে ওঠে--
--একে তুমি বাড়ি নিয়ে যাবে ঠাম্মা!
--হ্যাঁ দিদিভাই। এদের আমিই নিয়ে যাবনা হলে এরা রাস্তায় বেঘোরে... বাকিটুকু পড়ুন
হন হন করে হেঁটে আসছেন কমলেশ। আজ একটু দেরি করে ফেলেছেন। কপালে চিন্তার কয়েকটা রেখা নিয়ে এগিয়ে আসা কমলেশের কথাই এখন ভাবছেন গায়ত্রী।
বছর পাঁচেক আগেই শিক্ষকতার জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন কমলেশ। দুটি ছেলে একটি মেয়েকে মানুষ করেছেন--বিয়ে দিয়ে সংসারী করেছেন। জীবনের যাবতীয় সঞ্চয় দিয়ে ছোটখাটো একটা ছিমছাম বাড়িও বানিয়েছেন।... বাকিটুকু পড়ুন
হাঁটতে হাঁটতে একবার পেছন ফিরে তাকালেন গায়ত্রী। অনেকটা পেছনে ফেলে এসেছেন মিমিকে। ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে হাঁটার অভ্যেস নেই ওদের। রাতে শুতে শুতে ওদের মাঝরাত গড়িয়ে যায়। গায়ত্রী নদীর দিকে তাকালেন। পূবের আকাশটা সামান্য লালচে হয়ে উঠছে। জলে তার প্রতিফলন স্রোতের মাথায় মাথায় ছড়িয়ে পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বড় থালার... বাকিটুকু পড়ুন
--এখন থেকে ভাবতে শেখো। জীবনটাকে নতুন করে গড়তে হলে অনেক নতুন কথা ভাবতে হবে।
--সুবীরদা, দিদির সঙ্গে দেখা করতে যাব কবে?
--গেলেই হবে একদিন। দু'একদিন রেস্ট নাও--
--কাল গেলে হয় না?
--কয়েকদিন আমার হাতে একেবারেই সময় নেই। একটু সময় পেলেই--
--দিদিকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে--কতদিন দেখিনি!
হঠাৎই হাতের অর্দ্ধেক ভর্ত্তি হুইস্কির গ্লাসটা বারান্দার রেলিং টপকে... বাকিটুকু পড়ুন
দিদি এষার কথা মনে পড়তেই তৃষার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উজ্জ্বল সোনালি আলোয় মাখামাখি সবুজ আর আকাশের নীল কেমন যেন বদলে গেল। মুহূর্তেই যেন চারপাশ ঢেকে গেল কুয়াশায়।
এষাকে নিয়ে সুবীর যখন পালিয়ে আসে তৃষা তখন সপ্তদশী সদ্য তরুণী। সুবীরের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে কোনোমতেই রাজি ছিলেন না বাবা। বংশ... বাকিটুকু পড়ুন
সকালে হাঁটতে হাঁটতে রাঁচীরোড স্টেশন পর্যন্ত চলে গিয়েছিল তৃষা। এই রাস্তা ধরে সোজা চলে গেলে হাজারিবাগ। উল্টোদিকে গেলে একটা গাঢ় সবুজ পাহাড় পেরুলেই রাঁচী। ঠিক মাঝখানে এই রামগড়। রামগড়ের ঠিক মাঝ বরাবর অজস্র বড় বড় পাথরের ফাঁকফোকর দিয়ে বয়ে চলেছে দামোদর। এখানকার লোকেরা দামোদরই বলে। তৃষা প্রথমবার এসে এটাকে একটা... বাকিটুকু পড়ুন
জয়ন্তী লিখেছে--
--কিন্তু তোমরা ভূমিকা আমাকে শুধু হতাশই করেনি, আমার গোটা ভবিষ্যতকেই অনিশ্চিত করে তুলছিল ধীরে ধীরে। এই রকম একটা সময়েই তোমার বন্ধু অঞ্জনের সঙ্গে তুমি আমার আলাপ করিয়ে দিয়ে পরোক্ষে আমার দারুণ উপকার করে ফেলেছো। আমি ঠিক যেমন মানুষের স্বপ্ন দেখতাম--অঞ্জন ঠিক সেই মানুষ। তোমার সঙ্গে ওর বন্ধুত্ব হলো কি... বাকিটুকু পড়ুন
প্রবাল নীচে নেমে যেতেই খামটা ছিঁড়ে ভেতর থেকে চার-পাঁচ পাতার একটা চিঠি বের করলো বিভাস। কঙ্কনা বিভাসের পাশ থেকেই সামান্য উঁকি দিয়েই জয়ন্তীর হাতের লেখা চিনতে পারলো। ভেতরে ভেতরে একটা চাপা উত্তেজনা টের পাচ্ছিল কঙ্কনা। কি আছে ওই চিঠিতে?
বিভাস পড়ছিল--
বিভাস, আমি জানি আজ এই চিঠি না লিখলেই ভালো হতো। কিন্তু... বাকিটুকু পড়ুন
কঙ্কনা কিন্তু সকাল আটটার মধ্যেই এসে গেছে। শুধু তাই নয়, দিদির দায়িত্বজ্ঞানহীনতার লজ্জা গায়ে মেখে মাকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছে।
--আমাকে কিছুই বলেনি। একটা ফোনও যদি করতো--কিছুই বুঝতে পারছি না--
দৃশ্যত:ই বিভাসকে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। বাড়ি ভর্ত্তি লোকজন যে যার মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছুচ্ছে।
--দিদি কালীঘাটে গেছে বলে আমার মনে হয় না। অন্য কোথাও--
--কোথায়?... বাকিটুকু পড়ুন
জয়ন্তীর অপেক্ষায় বাড়ির সকলেই প্রায় বিস্মিত এবং বিরক্ত হয়ে উঠছে ক্রমশ:। হওয়াই স্বাভাবিক। অন্তত: আজকের দিনটিতে নিজের ভূমিকাটা কি সেটা জয়ন্তীর বোঝা উচিত ছিল। নতুন গৃহ-প্রবেশের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য মা-বাবা সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যেই সল্টলেক থেকে শ্রীরামপুরে চলে এসেছেন। ব্যাণ্ডেল এবং কালনা থেকে দুই বোন কল্যাণী আর জয়াও চলে... বাকিটুকু পড়ুন
মাস তিনেক কেটে গেলেও রাণীর অস্থিরতা কমেনি। সারাদিন একটা দুটো কথাও তারাপদ'র সঙ্গে হয় কি হয় না। একদিন তারাপদ নিজেই রাণীকে বললো--
--তোমার কি অসুখ করেছে? শরীরটা যে খুব রুগ্ন হয়ে পড়ছে--
--কিচ্ছু হয়নি আমার।
--ওটা তো রাগের কথা। এত রাগ-ই বা কিসের কে জানে! আমি তো কোনো অযত্ন তোমার করিনি--
--হরিশের খবর তুমি... বাকিটুকু পড়ুন
তারাপদ ঘরে ঢুকে সরাসরি তাকায় রাণীর দিকে নিত্যদিন। রাণীর চোখ প্রায় বুঁজে আসে। ইচ্ছে করেই বোধহয় এই সময়টাতেই রাণী তার আদুর শরীরে শুধু একটা শাড়ি জড়িয়ে রাখে। নিটোল দুটো হাত কাঁধ গলা এবং শাড়ির ফাঁক ফোকরের দুধে-আলতার তীব্র দ্যুতি তারাপদকে বিবশ করে তোলে। শরীরের সম্পদ এখনও ফেটে পড়ে রাণীর। হাত... বাকিটুকু পড়ুন
তারাপদ'র হিলহিলে চেহারা। চোখমুখ মন্দ নয়। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। কিন্তু রাণীর রঙ দুধ-আলতা! প্রথম দু'আড়াই বছর তারাপদ পাগল হয়ে গিয়েছিল প্রায়। কাজের সময়টুকু ছাড়া সে বাড়ি ছেড়ে নড়তো না। রাণীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেরি হয়নি। তার চাহিদাও বেড়েছে দিন দিন। কুলিয়ে উঠতে পারছিল না তারাপদ। অথচ রাণী চাইলে আকাশের চাঁদ এনে... বাকিটুকু পড়ুন