কালো পাইথনের মত নদী নেমে গেছে।
নদীর কালো জল তরতর করে ...
অথচ আমার ভেতরে কে যেনো পুড়ছে অনবরত!
অথচ নদীর দু'ধারে মানুষের বসতি। তাদের ঘর----বিছানা পাতা। সবুজ বৃক্ষশোভিত তাদের ঘরের চালা। কষ্টের রাতে নদীর ঘাটে এসে তারা শরীর জুড়ায়। স্নান করে।
অনেক কালো রাতে লণ্ঠন জ্বলে উঠে নদীবক্ষে-
যদিও যকৃতে জন্ডিস জ্বালা তবু নদীর মাঝে শিরশির বয়ে চলে শীতল বাতাস। আর আমার বিরহী পাখি অসীম দিগন্তে নিষ্পলক চেয়ে থেকে দেখে তারার পতন।
নদীজাগা মানুষেরা তন্দ্রায় ঢলে পড়ে জলের আরো কাছে। তারা জল ভালবেসে গায়ে মাখে। তারা জল ভালবেসে চোখে মাখে। তাদের শরীর জুড়ে লেপ্টে থাকে বাতাসের চাদর। অথচ আমার ভেতরে অগ্ন্যুৎপাতের শব্দ। অথচ আমার ভেতরে নগর ধসে পড়ে, লোকালয় । আগুনের পাহাড় তার লেলিহান শিখা বের করে ডাকে আয় আয় । অথচ নদীচর মানুষেরা শীতল অন্ধকারে দূরে এবং কাছে এবং অনেক দূরে আলো জ্বেলে রাখে।
নদীর চিত্ত প্রসন্ন । সে হীমের দেশ থেকে যৌবন এনে মৌ'বনে জল ছিটায়।
সন্ধ্যে হয়ে আসে।পরিপাটি মৃদুলয় বাতাস অনন্ত প্রশান্তি রচনা করে।অগ্ন্যৎপাতের শহরে যখন কেবল ধোয়াশা তখন নদীর ঘাট জুড়ে বিরাজ করে নদীতান্ত্রিক সুর।
নদীসন্তু আমার মাথায় তোমার জাদুর কাঠি ছোঁয়াও আমি নদীসুখী হই।