হাতে ছিলো সন্ধ্যে রঙের পথ।
যুগলানয়নে ছিলো কথাকরের সুর। ভেসে থাকা অম্লজান বারবার স্রোত তুলেছিলো কেশরন্যের বনভূবনে।
মিছে হৃদকম্পভার করার যে অভিনয় করেছিলাম তা ধরা পড়ে গেলো হাতে। দেবদারুর বন থেকে মন নেমে ঈশ্বর হয়ে এলে, সে সেজেছিলো কুর্নকঞ্জনা। যে তাকে করে গিয়েছে অপারপর তা’র গীত চরণে চরণে সাজিয়ে ঘুরছিলো । দন্তশিখর হতে নেমেছিলো যে সোমধারা তা দেখেই বিহ্বল ছিলাম।
পৃথিবীর পথ হতে আরও কিছু দূরের গ্রহণুতীর্থে যাবো বলে বাড়িয়ে ছিলাম যে হাত তাতে নেমে এসেছিলো গণকুণ্ডধার।
সে বলেছিলো, নখের শহরে আয়নার কোন ব্যবহার নেই। প্রত্যেকেই রাজা হবার মতো মিছে বাসনায় জলাঞ্জলী দেয় ধর্ম। শিমুলের হৃদে ডুবে থাকে কর্মফল। কালচক্রে বৃদ্ধাঙ্গণ দেখে শৈশবাসূচন করে সকলেই। এখানে সম্পর্ক নেই স্বার্থের নামে।
জমিরাজের মতো সুগভীর সুনিপুন সুসস্মিত সুপ্রসন্ন জীবন এখানে পলপল করে খলকলবলিয়ে চলে।
প্রেম এখানে চুম্বকের মতো রচনা করে উমাগিরীষ পুরান। তা’রে দেখে সেখানেই মৃত্যুনন্দগীত গাইতে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু সুদন্তী সুশিলা সুপ্রভা প্রভাষহীন প্রভাকরীণি আমায় বললে, পরের জন্মে হবে।