“আমি সমস্তই দেখিলাম, সমস্ত বুঝিলাম।
যে গোপনেই আসিয়াছিল, তাহাকে গোপনেই যাইতে দিলাম।
কিন্তু এই নির্জন নিশীথে সে যে তাহার কতখানি
আমার কাছে ফেলিয়া রাখিয়া গেলো,
তাহার কিছুই জানিতে পারিল না”।
-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
অপ্রকাশিত হবার জো আর তো নেই আবার নতুন করে প্রকাশিত হবার প্রকাশ ভাবনায় যে নিরুত্তাপ তার উপস্থিতির রঙ ছড়িয়েছে, তাতে তো খানিকটা কর্মফলের পুনরাবৃত্তি ঘটবেই। আমাকে আমার’চে আড়াল আর কে করতে পারবে? টিকে থাকার লড়াই করা হয়ে উঠেনি কখনও অগ্যতা আবার কোনও চোখের আলোয় নিজেকে খোয়াতে যাওয়াটাই বোকামি। জন্মলগ্ন থেকে যে উদ্বাস্তু ছিলাম তার ভাগফল শেষ হবেনা এজনমেও।
আক্রোশিত বৃক্ষের উপকণ্ঠে থেমে জেনেছি পথ চলায় যে পেলাম তা’র জন্য আর কেউ দায়ী না হবার সম্ভবনা শতভাগ। আরোপিত অনেক বিষয়ই নিজ পথকে দূর্গম করে গড়ে তোলার মতো ভাবনা ছিলো না যদিও তবুও ফেরাতে আসেনি কেউ বলেই এগিয়ে গেছি রাজা দুষ্মন্তের মতো। একটা সময় সবকিছুরই প্রয়াণ হয় হোক না সে রাজবর! চেনা-অচেনার মুখোমুখি হতে আর হয়তো ইতস্ততা কাজ করবে না।
শুধু এটাই বিশ্বাস করি এ জীবনে ছিলো যতো প্রিয়মুখগুলো তাদের সাথে আর কখনও এই পৃথিবীতে দেখা হবে না এমনকি কথাও হবে না। শুধু মহাবিশ্বে হারিয়ে যাবার মতো করে মৃত্যুপূর্ব সময়ের অনেক আগেই হারিয়ে গেছে ভেবে ডুবে থাকবো মহানন্দনের জলে।
তবে আমি আবার ফিরবো বুকের উপর ভর দেয়া কোন সরীসৃপ হয়ে নয়, আমিষের নদে ভেসে-ভেসেও নয়, রক্তচোখা কোনও মহামানব হয়েও নয় অমামৃতাত রুপে! যে রুপে যোজন-যোজন দূরত্ব গড়েছিলো অক্ষত ঈশ্বর।