#
এর আগে তুমি বলোনি,
কান্নাকে অলংকৃত করতেই চোখের দু’ধারে কাজলের আল্পনা আঁকা হয়!
কাজলের রঙে রাঙানো দু-ধারে হীরের মতো তোমার অশ্রুনদী-
কপোলে তোলে মেঘরঙা নদীপথ।
#
বিতিকিচ্ছি জীবন হয় কারো কারো
কোকিলের মতো সৌন্দর্য নিয়ে মুখরা উপহাস
রাত্রিবিধুর বৈঠকে স্বপ্ন ভাঙে ঠাস ঠাস।
#
অবৈতনিক ঈশ্বর রোজ রাতদিন লক্ষ রেখে যাচ্ছেন
শুধু কপালে হাত ছুয়ে যাই যখন দোরগোড়ায় বিপদ নাচে;
আনন্দখামে অবৈতনিক ব্যক্তিটির ঠায় নেই!
যবনিকায় ম্লানিমা দেখিয়ে
আমরাই যম আমরাই সব।
#
কাদা ছোড়াছুড়ি এখানেও!
শব্দচূড়ের গলায় উপহাসের ঝাঁপি;
অবহেলায় মধুমক্ষিকা ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে।
মধ্যাঙ্গুলির হিংসাদ্বেষ ছেড়ে-
স্ফুরিত হয়ে ভালোবেসে গেলে কি দোষ তাতে?
এসো-
সব খেদ পুড়িয়ে দিয়ে সঞ্জীবনী ঢেলে দেই;
চলো এইসব নগরে আবারো জাগি দ্বিগবলয় মাঝে।
======================================
[প্রকাশকাল]
দুই মার্চ দুই হাজার চৌদ্দ খ্রিষ্টাব্দ
সুসঙ্গ দূর্গাপুর_উইলকিংসন রোড।