চলে গেছ তুমি আসমানীদের গাঁয়
তখন শ্রাবণের চোখেও নেমেছে শ্রাবণ, হয়েছি পাগল প্রায়।
আমার প্রিয় হুমায়ুন স্যার, জানি তুমি ফিরবে না আর।
কোন এক ঝড়ের রাতে তোমায় প্রথম পেয়েছিলাম
কেন্দুয়ার আধাপাকা দালান ঘরে।
আজ কেন্দুয়ার মেঠো পথে শোকের মাতম
শোক ছড়িয়েছে ঘরে বাইরে।
চোখে জল নিয়ে আজ লীলাবতী ডুবতে বসেছে,
শূণ্য পড়ে আছে পূর্ণিমার জোস্না মাখা সে পুকুর পাড়।
যেখানে স্পর্শ মাখা কলমে তুমি লিখেছিলে,
আগুনের পরশমণি ও শঙ্খনীল কারাগার।
ঘর ছাড়া হিমু কটকটে হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে, বইয়ের মলাটে ছেড়ে বেড়িয়ে আসবেনা আর,
মিসির আলী, কিংবা বোতল ভূত দেখা দেবেনা আমার।
তোমার কলমের আঁচড়ে ওরা যেন জীবন্ত ছিল আমার কাছে,
তোমার রূপা গল্পের অজানা ভদ্রলোক আজও তার স্ত্রীকে বলতে পারেনি সত্যি কথাটা।
আজও সে গল্প শোনায় অপরিচিতা কে।
হয়তো নুহাশ পল্লীর দরজায় পড়বেনা তোমার হাত কখনো
হয়তো বৃষ্টি বিলাশ এভাবেই পড়ে রবে ধূলো ভরা।
হয়তো পূর্নিমা রাত এসে ফিরে যাবে তোমার অপেক্ষায়
জানি নক্ষত্র হয়ে গেছ, ফিরবে না আর পৃথিবীর আঙ্গিনায়।
তবুও আমি ভীষন ভাবে তোমাকে অনুভূতিতে রোজ জাগিয়ে রাখবো
আর গাইব তোমারি লেখা গান
যদি মন কাঁদে, তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়...
==========================================
উৎসর্গ
হুমায়ুন আহমেদ
ও হাজারো ভক্তের ভীড়ে থাকা তার তিন ভক্ত
রাবেয়া, তিতির, নাহারকে
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৫