Hello guys কেমন আছেন আপনারা? আমি কিন্তু বেশ ফুর্তিতেই আছি। আপনার কম্পিউটার কি আপনাকে কোনকিছু জিজ্ঞেস না করেই রিস্ট্রাট নেয় অথবা সাটডাউন হয়ে যায় তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য।প্রথমেই আমাদের জানতে হবে কেন এই সমস্যাটি হয়, এই সমস্যাটি সাধারণত বহুবিদ কারণে হতে পারে তবে তার মধ্যে প্রধান তিনটি কারণ উল্লেখযোগ্য…
১। প্রসেসর ওভার হিট হওয়া।
একটি কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার হচ্ছে প্রসেসর(সিপিইউ) এটিকে মানুষের মস্তিস্কের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কম্পিউটার চলাকালীন সময়ে প্রসেসর সবচেয়ে বেশি হিট হয় সুতরাং প্রসেসরকে ঠান্ডা রাখার জন্য একটি কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয় আর দীর্ঘ সময় কম্পিউটার ব্যবহার করার কারণে কুলিং ফ্যানে ধুলা-ময়লা জমা হয়ে জ্যাম হয়ে যায় যার ফলে উক্ত কুলিংফ্যানটি প্রসেসরকে প্রয়োজন আনুযায়ী ঠান্ডা করতে সক্ষম হয় না ফলে প্রসেসর ওভার হিট হয়ে সাময়িক সময়ের জন্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ফলে কম্পিউটার কোন প্রকার ম্যাসেজ প্রদর্শন না করেই রিস্ট্রাট নেয় অথবা সাটডাউন হয়ে যায়। আবার কুলিংফ্যানের নিচে এবং প্রসেসরের উপরে বিশেষ ধরনের সাদা রংয়ের পেষ্ট ব্যবহার করা হয় উক্ত পেষ্টকে টেকনিক্যাল ভাষায় “সিলিকন গ্রিজ” বলা হয়। সিলিকন গ্রিজ সাধারণত উচ্চ তাপ শোষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয় যদি সিলিকন গ্রিজ শুকিয়ে যায় তাহলেও রিস্ট্রাট অথবা সাটডাউন প্রবলেম হতে পারে।
প্রতিকার: এমন সমস্যা দেখাদিলে প্রথমে কুলিংফ্যান চেক করতে হবে যে ময়লা ঢুকে জ্যাম হয়ে আছে কিনা যদি ময়লার কারণে জ্যাম হয়ে থাকে তাহলে ব্রাস দিয়ে ভাল করে পরিস্কার করে ময়লা মুক্ত করতে হবে। অতপর চেক করতে হবে সিলিকন গ্রিজ ঠিকমতো আছে কিনা,যদি শুকিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে পূনরায় সিলিকন গ্রিজ ব্যবহার করতে হবে।
*** উল্লেখ্য যে পিনলেস প্রসেসরে সিলিকন গ্রিজের প্রয়োজন হয়, পিন প্রসেসরে প্রয়োজন হয়না ***
২। পাওয়ার সাপ্লাই সঠিক পরিমানে ভোল্টেজ সাপ্লাই না দেওয়া।
আমাদের দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার কথা আমাদের সকলেরই জানা আছে যখন খুশি যাচ্ছে যখন খুশি আসছে, আবার ভোল্টেজেরও নিদ্রিষ্ট কোন বালাই নেই হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে নয়তো মাত্রাতিরিক্ত কুমে যাচ্ছে যার ফলে অনেক ইলেকট্রনিক জিনিষের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিকার: যদি ১নং দ্রষ্টব্যের কাজগুলো করার পরেও রিস্ট্রাট অথবা সাটডাউন প্রবলেম সমাধান নাহয় তাহলে আপনার কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করে দেখতে পারেন ইনশাআল্লাহ্ আশা করি সমাধান হতে পারে।
তবে একটা বিষয় মনে রাখা ভাল যে সবসময় ইউপিএস ব্যাবহার করা
উত্তম এতে করে ভোল্টেজের আপ-ডাউন হলেও কম্পিউটারে সমস্যা হয় না।
৩। ভাইরাসের আক্রমন
আমরা যারা নেট ব্যবহার করে থাকি তাদের কম্পিউটারে নেটের মাধ্যমে ভাইরাস আক্রমন করতেই পারে, তবে নেটের মাধ্যমে যতটানা কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে তারচেয়ে বেশি ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করে পেনড্রাইভ বা অনন্য স্টোরেজ ডিভাইস দ্বারা ডাটা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে সুতরাং ডাটা শেয়ারিং করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন একান্ত বাঞ্চনীয় এবং নিয়মিত ভাইরাস ক্লিন করা উচিৎ
বি:দ্র উপরে উল্লেক্ষিত কারণ ছাড়াও নানাবিধ কারণে কম্পিউটার রিস্ট্রাট অথবা সাটডাউন সমস্যা হতেপারে। কিন্তু উপরিক্ত তিনটি কারণেই এই প্রবলেমটা বেশি হয়।
সমস্যার সমাধান অবশ্যই নিজ দায়িত্বে করবেন। যদি আমার এই সামান্য লেখাটুকু আপনাদের বালুকণা পরিমাণ উপকারে আসে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে, ধন্যবাদ সকল ব্লগারকে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৮