টাইটেলের লেখার সাথে নিজেকে মেলাবেন না।। আমরা কেউই চাই না উল্টোপাল্টা ধর্মের বিরুদ্ধে ( বিতর্কিত) লিখে তথাকথিত ধর্মান্ধদের চাপাতির নীচে কল্লা পেতে দিতে বা সরকারের বিরুদ্ধে লিখে পুলিশের সামনে বুক পেতে বুলেট নিতে।। আজ আমরা নিতান্তই ঢোড়াসাপ ।। ফোঁস করি কিন্তু নির্বিষ।। আমাদের আন্দোলনে বা ব্লগে লেখায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেও কিছুই করতে ারি না।। চাকা চলছেই।। থেমে নেই।।
তনুর কথাই ভেবে দেখুন।। দ্বিতীয়তে কি বলা হয়েছে আর প্রথমটায়!! এইসব ডাক্তারদের কে নিয়োগ দেয়?? যতদুর মনে পরে টাঙ্গাইলেও এমনতর ঘটনা ঘটেছিলো।। এর কি কোন প্রতিকার নেই।। ডাক্তারদের অলিখিত শপথ নেওয়া থাকে।। কিন্তু আজকাল কি দেখছি?? কেন এমন সব ঘটনা সাথে বিচারের বাণী নীরবে কাঁদছে?? কে দায়ী, শুধুই লোভ (টাকা)।।
যাকগে ধান ভানতে শীবের গীত গাইলে চলবে না।। গ্রাম বাংলায় প্রচুর ধান ভানার গীত আছে।।
যা বলছিলাম।। মাসের শেষে বেতন পাই।। সে প্রবাসী বা দেশী যেই হোক না কেন।। দেশীরা ভাড়া, পানি-বিদ্যুৎ, মাসের বাজার করেই দিশেহারা।। সাথে থাকে সন্তানদের স্কুল,কলেজ আর ভার্সিটির বেতনসহ যাতায়াত খরচ।। প্রবাসীদের একই অবস্থা পার্থক্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রত্যাশার পরিমান বেশী থাকায় খরচের পরিমানও বেশী।। আর আমরা মানে বাদ দিলাম প্রবাসীদের কথা।। নিজের কথাই বলি।। আমি সাধারনতঃ মাসের খরচের যে হিসেব গিন্নী পাঠায় সেটার সাথে সন্তানের খরচের টাকা যোগ করেও কিছু বেশী পাঠিয়ে থাকি সচরাচর।। বাকীটা রাখি নিজের জন্য।। মোবাইল বিল,ইন্টারনেটের বিল, ঘর ভাড়া,খাওয়া, যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচের জন্য।। কিন্তু দেখা যায় ১৫/২০ দিন গেলেই হিসাব করতে থাকি, কবে আসবে কাংক্ষিত সেই বেতনের দিনটি।। প্রায় প্রতিদিনই তারিখ দেখি আর ভাবি এত দেরী কেন?? কেন ফুরায় না মাসটি?? মানে নিজের অজান্তেই নিজের মৃত্যুর দিনটিকে কাছে টেনে আনছি।। কারন দিন যত যাবে, আমাদের আয়ূ তত কমবে।। বাস্তবতা এটাই।। কিন্তু তবুও ভাতে পারি না একটি মাস ডাবল হয়ে আমাদের আয়ূটাকেও ডাবলই করে দিক।।
যৌবনে থাকে না এই ভাবনা।। তখন শুধু হাসি-ঠাট্টা আর তামাশা।। সাথে থাকে রোমাঞ্চের উক্তেজনা।। সবাই আমাকে দেখে ভয়ে থাকুক, এড়িয়ে চলুক, বদলে দেবো সমাজকে,বদলে দেবো দেশকে ইত্যাদি ইত্যাদি।। ভেবেছিলো তাদের আন্দোলনের ফলেই সরকারের পতন ঘটবে।। কিন্তু জানতো না সরকারের ও লোক আছে।। বানচাল করার পদ্ধতি তাদের ভালই জানা আছে।। আছে বিভিন্ন গোপন চুক্তিও।। তোমরা যতটকু ছাড় দেবে, আমরাও!!ভেবো ব্যাবসা কিন্তু ঠকই থকবে।। মিটিং-মিছিলে তমাদের/আমাদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলেও , রাতে একই পথের পথিক।। গেলাসও একই ।। পার্থক্য শুধু রংয়ের।।
তরুন-যুবারা বুঝে না এত কিছু।। তাদের কাছে প্রেমের প্রাধান্য।। দেশ বা প্রেমিকার মাঝে থাকে না ভেদাভেদ।। এসবের কারনে অনেকে প্রানের মায়াও তুচ্ছ করেছে।। আজ আমার অভিজ্ঞতা বলছে তা না, তারা খুজছিলো বিদ্রোহের মাঝে রোমাঞ্চ।। ব্যাতিক্রম যে ছিল না, তাও অস্বীকার করছি না।। কিন্তু আসলে কি লাভ হয়েছে?? মাঝখান থেকে প্রানটাই গেল নয়তো জেল থেকে বেরোতে বয়স।। তবে বিনিময়ে একটা শ্রেনীকে তারা “জাতে” তুলে দিয়ে গেছে।। যাদের মিটিং-মিছিলে ১০০জনও( ঢাকায়) হতো না।। আজ তারা কোথায়?? সেই সব রোমাঞ্চপ্রিয় আর দেশপ্রেমিকদের বদৌলতেই।। তাই না??
আবার অনেকে মৃত্যুকে এতো ভয় পায় যে, কিছু হলেই দৌড়ায় সিঙ্গাপুর বা ভারতের দিকে।। দেশে অনেক নামী-দামী হসপিটাল বা ডাক্তার থাকতেও।। প্রসঙ্গক্রমে চলে আসে আমাদের ডাক্তাররাই কিন্তু এই মধ্যপ্রাচ্যে অনেক নাম করেছে।। কিন্তু আমরা বিশ্বাস রাখতে পারছি না তাদের উপর।। এবারের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি।। নামধাম বলবো না।। গত একবছর ধরেই শুনে আসছি গিন্নীর গলব্লাডারে পাথর সাথে গাইনীর সমস্যা।। অপারেশনের প্রস্তুতি নিয়েই দেশে যেয়ে কি খেয়ালে আবার ৮/৯টা টেষ্ট করালাম।। কিছুই ধরা পড়লো না।। গিন্নীর আধমড়া মুখে প্রান ফিরে এলো আর আমার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ মুখে হাসি।। ডাক্তার সব শুনে হেসে বললেন, দেশে তিন ধরনের ডাক্তার আছে।। জয়বাংলা, বালাদেশ জিন্দাবাদ আর এর বাইরে।। আপনাকেই খুজে বের করতে হবে সঠক ডাক্তার।।
আজ দেখছি মৃত্যুকে নূতনরপে।। লেখক,অধ্যাপক, ব্লগার কেউই বাদ যাচ্ছে না।। কেন এতো অহেতুক হত্যাকান্ড?? আমার হিসাবে “ অহেতুক” হলেও কারো কারো কাছে দাবা খেলা।। যাক না দু/একটা পনের আত্মাহুতি!! বিনিময়ে যদি হাতি-ঘোড়া মারা যায়!!
আমরা কারনে অকারনে অনেক কথাই বলে থাকি।। আমিও তাই বোধহয় করলাম।। পাঠকরা বিচার করবেন।। আমি লিখেছি আমার কথাই।।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ২:১৩